স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ,কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় লাখো শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ বিজ্ঞপ্তিতে নেই নারী কোটা। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ’র সোমবার প্রকাশ করা ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশের বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৫ই মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের নির্দেশনা অনুযায়ী এমন সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক নিয়োগেও নারী কোটা তুলে দেওয়া হয়। আদালতের রায়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগেও মাত্র ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়।
ওয়াল্ড ব্যাংকের সুপারিশে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দেশের অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠি হিসেবে নারীদের জন্য সরকারি চাকুরিতে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষন করা হয়। যা অব্যাহত ছিলো পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশেও। এলাকা ও ক্ষেত্র বিশেষে নারী কোটা ৪০ শতাংশও ছিলো বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ’র হাতে সারাদেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা,কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত এক লাখ ৮২২ শিক্ষকের পদ শূন্য আছে।
স্কুল ও কলেজের শিক্ষক পদ শূন্য আছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদরাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি।
এক লাখ ৮২২টি পদের মধ্যে কোন বিষয়ের কয়টি পদ শুন্য আছে তা ২২শে জুন বেলা ১২টার পর এনটিআরসিএ ও টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। এই সময়ের পর থেকেই বিষয়ভিত্তিক আবদেন ফরমও ওয়েবসাইটে পাবেন চাকরি প্রার্থীরা।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চুড়ান্ত উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ৪ঠা জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে যাদের বয়স ৩৫ বছরের কম তারা ১০ জুলাই রাত ১২টার আগ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
নারী কোটা বাতিলের বিষয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিলো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। এনটিআরসিএ’র প্রস্তাবের বিষয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ৪ঠা মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে নারী কোটা বাতিলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুরসণ করে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এনটিআরসিএ’কে নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।