ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষা-গবেষণার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক মানের ৪০ শতাংশ শিক্ষক রয়েছেন। যদিও আমরা শিক্ষকদের গবেষণার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পারি না। প্রয়োজনীয় সমর্থন পেলে বাকিরাও নিজেদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে পারবেন।’
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিচার্স পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পানির গুণগত মান তদারকি এবং বিশুদ্ধকরণ টেকনোলজি নিয়ে সম্ভাব্য প্রকল্পকে সামনে রেখে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সি (জেএসটি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এই বন্ধুত্ব রাজনীতির উর্ধ্বে। প্রজেক্টটি সমাজে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। মানুষ উপকৃত হবে। এই ধরনের প্রজেক্টকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
জানা গেছে, এই প্রজেক্টের মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইয়েনের (জাপানি মুদ্রা) প্রজেক্টটি ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০৩১ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তর, জাপানের সিজুকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজিস প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। সভাপতিত্ব করেন মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য দেন জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের জাপান অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. কোজো ওতানাবি