মাফ চেয়ে পার পেলেন চবির বহিষ্কৃত ৬ ছাত্রী, শাস্তি কমেছে ৩ জনের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

মাফ চেয়ে পার পেলেন চবির বহিষ্কৃত ৬ ছাত্রী, শাস্তি কমেছে ৩ জনের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত ১০ ছাত্রীর মধ্যে ৬ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

#চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় #শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত ১০ ছাত্রীর মধ্যে ৬ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৩ জনের বহিষ্কারের মেয়াদ কমিয়ে ২ বছর থেকে ৬ মাস করা হয়েছে। তবে একজন ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।

বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির সভাপতি ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।

বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা ৩ ছাত্রী হলেন- ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত নিশা, একই বিভাগের জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোসা. সুমাইয়া (সুমাইয়া সিকদার)।

এ ছাড়া একই ঘটনায় এক সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমির স্থায়ী বহিষ্কার বহাল রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় ৬ জনকে মাফ করা হয়েছে। বাকি ৩ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বহিষ্কারাদেশ প্রথম সিন্ডিকেট (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে। এই ৩ জনের হলের সিট পারমানেন্টলি বাতিল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিজয় ২৪ হলের নৌকার প্রতিকৃতি ভাঙাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনার জেরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় তাদের চিঠি দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সিদ্ধান্ত হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের পর নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে অভিযুক্ত এক ছাত্রী ক্ষমা চাওয়ায় তার বহিষ্কারের প্রত্যাহার ও অপর ছাত্র ক্ষমা না চাওয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে বহিষ্কৃত ৮৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ জন চিঠির জবাব দেওয়ায় তাদের ব্যক্তিগত শুনানিতে ডাকা হয়েছে। বাকিদের বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

#চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় #শিক্ষার্থী