উচ্চ আদালতের রায়ের পরও বঞ্চিত ৬ হাজার শিক্ষক | স্কুল নিউজ

উচ্চ আদালতের রায়ের পরও বঞ্চিত ৬ হাজার শিক্ষক

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

#স্কুল #শিক্ষক #আদালত

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে বলা হয়েছে, চাকরির চার বছর পূর্তিতে ১টি সিলেকশন গ্রেড এবং চাকরির আট বছর পূর্তিতে প্রথম টাইম স্কেল অনুযায়ী চাকরির ১২ বছর পূর্তিতে দুটি টাইম স্কেল প্রাপ্ত হবেন। জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী টাইম, স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পাবেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

উচ্চ আদালতের এমন রায়ের পরও সরকারি মাধ্যমিকের ৬ হাজার শিক্ষক বঞ্চিত।

জানা যায়, প্রায় ১২ বছর ধরে ঝুলে আছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বকেয়া পাওনা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড স্কেল সমস্যা। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই পর্যন্ত তিনবার ডিপিসি মিটিং হয়। প্রথম ডিপিসি সভায় উপস্থিত প্রায় সকল সদস্য শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেড স্কেল ও টাইম স্কেল প্রদানের পক্ষে মত দিলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এর বিপক্ষে মত দেন।.

এ বিষয়ে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আবদুস সালাম বাদী হয়ে বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল প্রাপ্তির বিষয়ে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় ও জটিলতা নিরসনে সুপৃম কোর্টের হাই কোর্টে তিনটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। হাই কোর্টের' রায়েও জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯-এর ৭(২) ও ৭(৯) ধারা মোতাবেক পিটিশনারদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ও বর্তমানে সবুজবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মো. আবদুস সালাম বলেন, এই রায়ের ফলে ন্যায়বিচার পেয়েছেন শিক্ষকরা। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ব্যক্তি ভেদে ১৫ থেকে ২৫ বছর ধরে একই পদে চাকরি করেও তাদের ন্যায্য আর্থিক পাওনা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এই রায় বাস্তবায়ন হলে তাদের সেই বঞ্চনার অবসান হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়ন উপকমিটির সদস্য সচিব ও বর্তমানে মাউশিতে সংযুক্ত কর্মকর্তা মাশররুল হক তানভীর বলেন, আমরা আশা করি বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার। এই রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।

টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়ন উপকমিটির সদস্য ও বর্তমানে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত সিনিয়র শিক্ষক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আদালতে মামলা জটের কারণে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর পরে শুনানি করতে পেরেছি। দেরিতে হলেও ন্যায় বিচার পাওয়ায় শিক্ষকগণ খুশি।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের শিক্ষকগণ এই রায় দ্রুত বাস্তবায়ন চায়।

#স্কুল #শিক্ষক #আদালত