অ্যাম্বুলেন্সের দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম জাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অ্যাম্বুলেন্সের দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম জাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

কিছুদিন আগে হঠাৎ এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও সময়মতো অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে করেই তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।

#জাবিপ্রবি #শিক্ষার্থী

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, কিছুদিন আগে হঠাৎ এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও সময়মতো অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে করেই তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।

প্রশাসন শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ একটি মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দিলেও শুক্র ও শনিবার মাইক্রোবাসটি বন্ধ থাকে। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি হল রয়েছে। রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হয় জেলা শহরে চিকিৎসা নিতে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দেওয়া গাড়িটি কখনো সময়মতো মেলে না।

অনেক সময় গাড়িটির চালক দূরে থাকেন। কয়েকদিন আগে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। গাড়ি চালককে ফোন দেওয়ার পরে তিনি বলেন অনুমতি নিতে হবে। এ ছাড়া অনেক দেরিতে তিনি এসেছিলেন।

তাই মাইক্রোবাসের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ অ্যাম্বুলেন্সের দাবিতে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে স্থায়ী অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। একইসঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে মাইক্রোবাস বর্জনের ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক লিটন আকন্দ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল তা পুরোটাই ব্যর্থ হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যেসব দাবি দিয়ে ছিল, তা একটিও হয়নি। এখনো আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় দখল করে আছে। তাদের নিয়োগ বহাল রেখে নতুন করে ক্যাম্পাসের কার্যক্রম করতে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা যদি আপনারা বিনষ্ট করার চেষ্টা করেন এর পরিণতি খারাপ হবে।’ তিনি গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি সংবলিত ৩২ দফার দ্রুত বাস্তবায়নের জোরালো আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব যীনাত মিয়া আজিজুল, শিক্ষার্থী রাফসান হামিদ রানা, কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নূর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘গত অর্থবছরে অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য একটি বাজেট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সরকারি গাড়ি কেনার অনুমোদন না থাকায় কিনতে পারেনি। এ বছরও গাড়ি কেনার প্রস্তাব দেওয়া রয়েছে। সরকার যদি অনুমোদন দেন তাহলে গাড়ি কিনে ফেলব আমরা।’

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#জাবিপ্রবি #শিক্ষার্থী