নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আছেন। শিক্ষকদের এ দাবিকে সমর্থন করেন ৭৯ শতাংশ মানুষ। দেশের শিক্ষাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত তাৎক্ষণিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে অংশ নেয়া মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক না। আর বাকি ২ শতাংশ মানুষ পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মত দেননি।
গত ৩ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে থেকে শুরু হয়ে ৫ মার্চ বিকেল ৩টা পর্যন্ত দৈনিক শিক্ষাডটকমের ওয়েবসাইটে এ জরিপ চলানো হয়। জরিপে প্রশ্ন করা হয়, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি যৌক্তিক মনে করেন কি না?
জরিপে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’–এর পাশাপাশি ‘মন্তব্য’ নেই এমন একটি ঘর ছিলো। দৈনিক শিক্ষাডটকমের ওয়েবসাইটে পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়েছেন ১২ হাজার ২১ জন। ‘না’ ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ২৬৫ জন এবং ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন ৯ হাজার ৫১১ জন মানুষ।
প্রসঙ্গত, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের তাদের অবস্থান কর্মসূচিতে দেখা গেছে। শিক্ষকরা বলছেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি করতে হবে। তারা বলছেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে। এ দাবি পূরণ না হলে রাজপথ ছাড়বেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষকরা বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির মাধ্যমে হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও বঞ্চিত করেছে। অথচ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০-২৫ বছর ধরে এমপিওবিহীন থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা নিরলসভাবে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন এবং জাতীয় শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এবং শেখ পরিবারের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান ছিলো সেগুলো এমপিওভুক্ত করেছেন, বলেন তারা।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।