অধ্যক্ষ নিয়োগে ঘুষের অভিযোগ: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির পদত্যাগে মত ৮০ শতাংশের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অধ্যক্ষ নিয়োগে ঘুষের অভিযোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির পদত্যাগে মত ৮০ শতাংশের

‘গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ভিসির পিএস আমিনুল আক্তার আমাকে ধানমন্ডি ৮/এ বিশ্ববিদ্যালয় অফিসে ডাকেন। এ সময় আমার সঙ্গে তিন সহকর্মী ফকির মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, বাদশাহ আলমগীর ও জাহাঙ্গীর হোসেনের উপস্থিতিতে আমিনুল ভিসির পক্ষে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি সরাসরি এ দাবি প্রত্যাখ্যান করি।'

#জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় #উপাচার্য #ঘুষ #ড. এ এস এম আমানুল্লাহ #ঢাকা সিটি কলেজ

রাজধানীর একটি নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা সিটি কলেজ। সম্প্রতি কলেজটির অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়। সেই পরীক্ষায় প্রথম হন কলেজের অধ্যাপক কাজি নেয়ামুল। তিনি অধ্যক্ষ পদে যোগদানের জন্য অনুমতি নিতে গেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ তার কাছে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ভুক্তভোগী নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলেন। এমন পরিস্থিতিতে দাবি উঠেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ করা উচিত।

এর প্রেক্ষিতে জনমত জরিপ চালায় দেশের শিক্ষাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম। জরিপের তথ্য বলছে ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ করা উচিৎ।

তবে জরিপে অংশ নেয়া ১৬ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন পদত্যাগ করা উচিত নয়। এ ছাড়া ৪ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মতই দেননি।

গত ৯ জুলাই বিকেল থেকে শুরু হয়ে ১০ জুলাই দুপুর পর্যন্ত দৈনিক শিক্ষাডটকমের ওয়েবসাইটে এই জরিপ চলানো হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির পদত্যাগে মত ৮০ শতাংশের

দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়েছেন মোট ৩ হাজার ৫ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৪০৫ জন এবং ‘না’ ভোট দিয়েছেন ৪৭৫ জন মানুষ। হ্যাঁ বা না কোনো মন্তব্য করেননি ১২৪ জন।

জরিপের প্রশ্ন করা হয় অধক্ষ্য নিয়োগে ঘুষের অভিযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন কি? জরিপে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’–এর পাশাপাশি ‘মন্তব্য নেই’ নামে আরেকটি ঘর ছিলো।

প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নেয়ামুল হক বলেন, ১৩ জুন ঢাকা সিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের পরীক্ষায় আমি প্রথম স্থান অর্জন করি। পরের দিন ১৪ জুন গভর্নিং বডির সভায় আমাকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পূর্বানুমতির জন্য পাঠানো হয়।

কিন্তু এখনো ভিসি অনুমোদন নিয়ে গড়িমসি করছেন। গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ভিসির পিএস আমিনুল আক্তার আমাকে ধানমন্ডি ৮/এ বিশ্ববিদ্যালয় অফিসে ডাকেন। এ সময় আমার সঙ্গে তিন সহকর্মী ফকির মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, বাদশাহ আলমগীর ও জাহাঙ্গীর হোসেনের উপস্থিতিতে আমিনুল ভিসির পক্ষে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি সরাসরি এ দাবি প্রত্যাখ্যান করি। তবে, অভিযোগের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পুরাই একটা ফেক অভিযোগ ও নিউজ।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় #উপাচার্য #ঘুষ #ড. এ এস এম আমানুল্লাহ #ঢাকা সিটি কলেজ