এমপিও শিক্ষকদের স্বয়ংক্রিয় বদলি সফটওয়্যারসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা অধিদপ্তরের | বদলি নিউজ

এমপিও শিক্ষকদের স্বয়ংক্রিয় বদলি সফটওয়্যারসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা অধিদপ্তরের

এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে বলেও আশা সংশ্লিষ্টদের।

#এমপিও #বদলি #শিক্ষক

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। সেপ্টেম্বরে বদলি প্রক্রিয়া শুরুর আগে এই সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন হলে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে বলেও আশা সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইউনুছ ফারুকী স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে বদলি শুরুর পরিকল্পনা জানিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই সফটওয়্যার তৈরির আগে চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর পদবিন্যাস অনুযায়ী ডেটাবেইজে ইনপুট করতে হবে। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই কাজটা করার পরে আমরা বদলির আবেদন আহ্বান করতে পারবো। এ জন্য আমাদের দুইটি সফটওয়্যার ডেভলপ করতে হবে। একটা হলো শিক্ষক-কর্মচারীদের পদবিন্যাস অনুযায়ী সাজানো, তারপরে সফটওয়্যার তৈরি হলে এই তথ্যগুলো মূল সফটওয়্যারে ইনপুট করা। সেগুলো ভেলিডেশন, ভেরিফাইড করা, কোন প্রতিষ্ঠানে কতটি পদ। এ ছাড়াও অনুমোদিত কর্মরতদের নাম, বিষয়, জন্মতারিখ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি তথ্য ছক পূরণ করে ডেটাবেইজড আপডেট করার পরে পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার তৈরি হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এ সংক্রান্ত সভায় ইএমআইএস সেলের তিনজন সিস্টেম অ্যানালিস্ট ছিলেন। যেহেতু এখানে হিউজ ডেটা ইনপুট হবে সেক্ষেত্রে তারা একটা প্রতিবেদন দেবেন। প্রয়োজনে সার্ভার স্পেস বাড়ানো হবে। যাতে সফটওয়্যার স্লো না হয়ে যায় সে ব্যবস্থা তারা করবেন। এটা তারা খুব দ্রুত সময়ে করা হবে।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী- শুধু মাউশির মহাপরিচালক (ডিজি) পারস্পরিক বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। নীতিমালায় এই বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে হবে বলে জানানো হয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সেই সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে।

জারি করা নীতিমালায় বদলির সাধারণ শর্তে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্যপদের চাহিদা বা বিবরণ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করবে, প্রকাশিত শূন্যপদের বিপরীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বদলির আবেদন আহ্বান করবে। সমপদে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলির জন্য ১ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ জারি হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন হবে। আবেদনকারী শিক্ষক তার চাকরির আবেদনে উল্লেখ করা নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করবেন। তবে নিজ জেলায় পদ শূন্য না থাকলে নিজ বিভাগের যেকোনো জেলায় শূন্য পদের বিপরীতে বদলির আবেদন করতে পারবেন।

বদলির আবেদন নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া যেভাবে: বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়‍্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সফটওয়‍্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে। বদলিকৃত শিক্ষকের ইনডেক্স আগের প্রতিষ্ঠান থেকে বদলিকৃত প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার হবে। পারস্পারিক বদলির ক্ষেত্রে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বদলি পদায়নের বিষয়টি নিষ্পন্ন করতে পারবেন। বদলিকৃত শিক্ষকের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা এবং জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতা আগের মতো বজায় থাকবে।

#এমপিও #বদলি #শিক্ষক