বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে সংস্কার কমিশনের একগুচ্ছ সুপারিশ | বিসিএস নিউজ

বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে সংস্কার কমিশনের একগুচ্ছ সুপারিশ

বিসিএস পরীক্ষার জন্য ৬টি আবশ্যক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যেমন বাংলা রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি কম্পোজিশন এবং প্রেসি ১০০ নম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ১০০ নম্বর, আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়াবলী ১০০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল ১০০ নম্বর। তবে মৌলিক বিষয়ের মধ্যে সুপারিশে রাখা হয়নি গণিত।

#বিসিএস #পরীক্ষা #পিএসসি

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়।

প্রতিটি কমিশনের সদস্য সংখ্যা চেয়ারম্যানসহ ৮ জন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন (সাধারণ), এতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিস ব্যতীত অন্য সকল সার্ভিসে নিয়োগ ও পদোন্নতি পরীক্ষা আয়োজন করবে। এছাড়াও রয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (শিক্ষা) ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন (স্বাস্থ্য)। এই কমিশন দু্টি শুধুমাত্র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের জনবল নিয়ে কাজ করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা/আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে যাতে সহজেই সেটি পরিবর্তন করা না যায়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়রেখা প্রতিষ্ঠা করা উচিত। প্রতিবেদনে একটি পরীক্ষা ও পদায়নের রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এতে পিএসসির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ। এবং ফল প্রকাশ হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে, লিখিত পরীক্ষা জুন মাসের দ্বিতীয়ার্ধে, পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হবে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। ফল প্রকাশ হবে এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ছাড়পত্র মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হবে। নিয়োগের আদেশ গেজেটে প্রকাশ হবে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জুলাইয়ের এক তারিখে তারা যোগদান করবেন।

বিসিএস পরীক্ষার জন্য ৬টি আবশ্যক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যেমন বাংলা রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি কম্পোজিশন এবং প্রেসি ১০০ নম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ১০০ নম্বর, আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়াবলী ১০০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল ১০০ নম্বর। তবে মৌলিক বিষয়ের মধ্যে সুপারিশে রাখা হয়নি গণিত।

এছাড়াও বিসিএস’র মূল লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যক বিষয় ছাড়াও সিলেবাসে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠিত কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং আইন ইত্যাদি গুচ্ছ হতে ৬টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটি ১০০ নম্বরের) অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কোনো গুচ্ছ হতে দু’টির বেশি বিষয় বা পেপার নির্বাচন করা যাবে না। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ন্যূনতম নম্বর ৬০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিসিএস’র চূড়ান্ত ফলাফল ব্রেকডাউনসহ প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করে কমিশন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। সদস্যরা হলেন- সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. রিজওয়ান খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএ ফিরোজ আহমেদ, সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহিনা সোবহান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিট জেনারেলের সাবেক মহাপরিচালক ফিরোজ আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য খোন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মেহেদী হাসান (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)।

#বিসিএস #পরীক্ষা #পিএসসি