স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রমনার ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে প্রধান উপদেষ্টার এপিএস স্মারকলিপি নিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের দাবির কথা শোনেন এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে শিক্ষকদের আবেদন জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে রোববার বিকেলে এ শিক্ষকদের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আলোচনার জন্য পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে শাহবাগ ছেড়েছেন শিক্ষকেরা প্রেস ক্লাবে যাচ্ছেন।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো জাতীয়করণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্র শুরু করেন। একই দাবিতে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছেন।
আরো পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষকদের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে
ধর্মঘটরত শিক্ষকরা বলেছেন, প্রাথমিক স্কুলের মতো সব বিধি-বিধান মেনেও মাদরাসা শিক্ষকেরা চার দশক ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণ ঘোষণা করতে হবে।
আরো পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান
শিক্ষকেরা আরো জানান, তাদের অবস্থান চলবে ও ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। জাতীয়করণের ঘোষণা ছাড়া রাজপথ ছাড়বেন না ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকেরা।
বক্তারা বলেন, আমরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় সরকারি বিধি-নিয়ম অনুসরণ করে গত ৪০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতার পেশায় দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু সামান্য অনুদানের টাকা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে একই পরিপত্রে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের ৫০০ টাকা সরকারিভাবে অনুদান দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। বাকি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জাতীয়করণ তো দূরের কথা, এ পর্যন্ত একটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাও এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হয়নি।