দেশীয় প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পুরোপুরি সাফল্য অর্জনে সক্ষম হলে তার সুফল শুরুতেই নেতে হবে কৃষি খাতে। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়-বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক আবু রোবহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। দেশের শিক্ষা বিষয়ক প্রথম ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষা ও প্রিন্ট দৈনিক আমাদের বার্তার সাথে এক একান্ত সাক্ষাতকাওে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুয়েট উপাচার্য বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স তুলনামূলকভাবে একটা নতুন বিষয় হলেও ধীরে ধীরে বিষয়টি আয়ত্তে আনতে শুরু করেছে দেশের প্রকৌশলীরা।
তিনি বলেন, এখন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে বলেই তা সাধারণ মানুষও অবগত। কম বেশী তারাও জানান। আগে হয়তো প্রকৌশলী আর বিজ্ঞান মনস্করা বিষয়টি জানতেন, বুঝতেন। তেমনি নতুন ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের খুব বেশি এক্সপার্ট আগে ছিলো না। এখন আস্তে আস্তে বাড়বে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে গেলে পুরোপুরি নতুন সাবজেক্ট। নতুন হলেও এখন দেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্ট পড়ানো হচ্ছে। তাঁর প্রত্যাশা খুব শিগগিরই দেশ এর সুবিধা পাবে।
তবে কোন ক্ষেত্রে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার থেকে সুবিধা আগে আদায় করে নিতে হবে বিষয়ে বুয়েট উপাচার্য বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সটা ব্যবহার করে আমরা সবার আগে কৃষিখাতে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবো। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু পানি দেয়া, ততটুকু সার দেয়া। কিন্তু এর একটা ডাউন-সাইড আছে।
যারা চ্যাটজিপিটি উইজ করেন, ডিপসিক উইজ করেন, তাদের কাজ সহজ হয়ে যাবে। তখন আপনার মতো সাংবাদিকের সংখ্যা কমে যেতে পারে। আমার মতো ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যাও কমে যেতে পারে।
অনেক পেশাতেই লোকজন কমে যাবে। কারণ, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স তখন আপনার আমার কাজগুলোর বিরাট অংশই সাধারণ মানুষকে সহজে করে দিবে।
এমনকি দৈনন্দিন জীবনে যারা শারীরিক শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, যেমন ধরেন- হোটেলে যারা কাজ করে বা এরকম কিছু, তাদের অনেকের কাজও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স করে দিবে।