শাবিপ্রবিতে আঞ্চলিক সমিতির কমিটিতে সভাপতি না করায় হামলার অভিযোগ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

শাবিপ্রবিতে আঞ্চলিক সমিতির কমিটিতে সভাপতি না করায় হামলার অভিযোগ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের’ সভাপতি পদ না পাওয়ায় আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

#শিক্ষার্থী #শাবিপ্রবি #শিক্ষক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের’ সভাপতি পদ না পাওয়ায় আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গণিত বিভাগের ছাত্র সোহান শাহ এর বিরুদ্ধে।

এ সময় মারধরের প্রতিবাদ জানালে শাকিল হাওলাদার নামের আরেক শিক্ষার্থীকে ইট দিয়ে হাত থেতলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

সোমবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় দুজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

আহতরা হলেন- শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির হাসান ও একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হাওলাদার। তারা উভয়েই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

একই ঘটনায় আহত আরেকজন গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহান শাহ। তিনিও এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতে সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন সোহান শাহ। সভাপতির পদ না দেওয়ায় সংগঠনটির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বির হাসানের সঙ্গে সোহান শাহ-এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে একপর্যায়ে সোহান শাহ ও তার ব্যাচমেট কয়েকজন মোবাশ্বির হাসানকে মারধর করেন। পরবর্তীতে মোবাশ্বির হাসানের দুইজন জুনিয়র এসে এর প্রতিবাদ জানালে সোহান শাহ ইটের আঘাত দিয়ে শাকিল হাওলাদারের হাত থেতলে দেয়।

এ সময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাশ্বির আহমদ বলেন, দুপুরে কমিটি ঘোষণার পর মেসে আমার রুমে এসে তর্ক শুরু করে সোহান। তাকে কেন সভাপতি করা হয়নি সেজন্য এক পর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলে। তার দুই ব্যাচমেটকে নিয়ে আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমার দুইজন জুনিয়র কেন মারধর করেছে এর কারণ জানতে চাইলে সে তাদেরকেও ইট দিয়ে আঘাত করে। এতে একজনের হাতের গুরুতর আঘাত লাগে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।'

এ ব্যাপারে মোস্তাক আহমদ বলেন, আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি প্রকাশ হয়েছে। এই দরকারে আমি মোবাশ্বির ভাইয়ের রুমে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি শাকিল ভাই ও মোবাশ্বির ভাই বসা। কি হইছে-তাদের কাছে জানতে চাইলে জানান, সোহান শাহকে কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দেওয়া হয়নি দেখে সে (সোহান) তার দুই বন্ধুসহ মোবাশ্বির ভাইয়ের রুমে গিয়ে মারধর করছে। সোহান শাহকে এটা জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি শাকিল ভাই ও আমার ওপর আক্রমণ করে। আমাদেরকে ৪ থেকে ৫টি ইট ছুড়ে মারে। মোবাশ্বির ভাইকে মারার জন্য সোহান আগে থেকেই রুমে ইট এনে রাখছিল।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহান শাহকে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এতে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বেলাল শিকদার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। আহত শাকিলের হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবে।

#শিক্ষার্থী #শাবিপ্রবি #শিক্ষক