পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছয় দাবির পূরণের রূপরেখা প্রণয়নের সুপারিশ বাস্তবায়নে গড়িমসি, অনীহা দেখা গেলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি পূরণের রূপরেখা প্রণয়ন কমিটির সদস্যদ ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে উত্থাপিত ছয় দফা দাবির রূপরেখা প্রকাশ করার জন্য কাজ করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। এই পদক্ষেপ কারিগরি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
আমরা এই প্রতিবেদনে উত্থাপিত সুপারিশ এবং অতিরিক্ত প্রস্তাবনাগুলো সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি এবং এটিকে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি।
এই ছয় দফা শুধু কিছু দাবি নয়; বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির একটি বাস্তবভিত্তিক রূপরেখা। সরকার এই রূপরেখা প্রকাশ করে প্রমাণ করেছে তারা দেশের কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয় এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে সম্মান করে।
আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি, এই রূপরেখার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং বাংলাদেশ দক্ষতা-নির্ভর একটি আত্মনির্ভরশীল উন্নত রাষ্ট্রে রুপান্তরিত হবে।
এই প্রেক্ষিতে, বিগত সময়ে আমাদের পক্ষ থেকে পরিচালিত সমস্ত আন্দোলন, কর্মসূচি ও মানববন্ধন এই মুহূর্ত থেকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিচ্ছি। আমরা সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং আসন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফরম ফিলাপ কার্যক্রম শুরু হবে।
তবে, আমরা একটি বিষয় অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই এই সুপারিশ বাস্তবায়নে গড়িমসি, অনীহা বা বিলম্ব লক্ষ্য করা গেলে, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন তার ঐক্যবদ্ধ সাংগঠনিক শক্তির মাধ্যমে পুনরায় কর্মসূচিতে ফিরতে প্রস্তুত থাকবে।