বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা। ছবি : সংগৃহীত
ভিজিএফর কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তাসহ অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কাজী মো. আবু যাঈদ।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। ডায়েরি নম্বর- ১১৭/২৫। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির শিকদার।
অভিযোগকারী আবু যাঈদ বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্ববাড়ী কাজী বাড়ির বাসিন্দা কাজী মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে। তিনি বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্র এবং তার বাবা একজন গণমাধ্যমকর্মী।
সাধারণ ডায়েরিতে যাঈদ উল্লেখ করেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নিজ এলাকায় গরিবদের মাঝে বিতরণের জন্য উপজেলা প্রশাসন তাকে ৫০টি ভিজিএফের কার্ড দিয়েছেন।
সেখান থেকে কিছু কার্ড দাবি করেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেয়া মো. আল আমিন শেখ নামের ব্যক্তি।
এ নিয়ে গত সোমবার কাশিপুর ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসকের সামনে আবু যাঈদ ও গণ অধিকার পরিষদের কর্মীদের সঙে্গ খারাপ ব্যবহার করেন আল আমিন শেখ। পরে তাকে এ বিষয়ে যুক্তিযুক্তভাবে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর না দিয়ে ক্ষমা চান।
যাঈদ বলেন, এ ঘটনার পর আল আমিন শেখ ২ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফোন করে আমার কাছে ৩০টি কার্ড দাবি করে।
আমি তার দাবি প্রত্যাখ্যান করলে মঙ্গলবার সকালে সে আমার সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ককে ফোন করে আমার বিরুদ্ধে কার্ড বিতরণ নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে।
অথচ এখন পর্যন্ত একটি কার্ডও বিতরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে আল আমিনকে শেখকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে আটকে রেখে মারধর করার হুমকি দেয়। এমনকি আমার বাবা তাকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাকেও হুমকি দেয় আল আমিন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আল আমিন শেখ ও ইউপি সদস্য সানাউল কবির রেজভীর নেতৃত্বে তাদের লোকজন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আমাকে (আবু যাঈদ) মারধরের হুমকি দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে ছাত্রদল নেতা আল আমিন শেখ থাবা দিয়ে আমার মোবাইল সেট নিচে ফেলে দেয়। এতে মোবাইলটি নিচে পড়ে ভেঙে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বা ছাত্রদল নেতা করোরই বক্তব্য জানা যায়নি। তবে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির শিকদার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু যাঈদ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।