ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যার বিচার এবং ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার সামনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই সমাবেশ পালন করে।
এর আগে ক্যাম্পাসে প্রধান সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এই কর্মসূচিতে ছাত্রদল ও বিভিন্ন বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, আমাদের অধিকার’, ‘We want justice, we want safety’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
বিগত নয় মাসে যে নিরাপত্তাহীনতা দেয়া যায় ক্যাম্পাসে তারই ফল এটা। আজকে আমার সন্ত্রাস বলতে শুধু তিন জন আসামিকে বুঝাচ্ছি না।
যারা সাম্য হত্যাকে বিভিন্নভাবে ঘুরানোর চেষ্টা করছে, চরিত্র হরণের কথা বলছে, যারা প্রক্টর-ভিসির পক্ষে কথা বলতে তারাও সন্ত্রাস।
মাস্টার দা সূর্য সেন হলের ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবেদুর রহমান মিশু বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডের দুই ঘণ্টা পর আমরা ভিসির বাসভবনের সামনে গেলাম তিনি দরজা খুলে বের হয়ে এলেন।
তার নাকি সময় হয়নি হাসপাতালে যাওয়ার। অথচ তার সময় হয় উত্তরা যাওয়ার। এই ভিসি প্রক্টরকে আমলে আমরা দেখেছি কিভাবে তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার মোড়াল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবুও নাকি এই প্রশাসন ‘ধুয়া তুলসী পাতা’।
তিনি বলেন, আমরা এই প্রশাসনের উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। অনতিবিলম্বে সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। এই প্রক্টর-ভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে। সেইসঙ্গে বিগত নয় মাসে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।
ঢাবি ছাত্রী ইশরাত জাহান ইমু বলেন, এই বর্তমান প্রশাসনের অর্জন কী আমরা জানতে চাই। এই প্রশাসনের সময়েই একটা মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে।
কিন্তু প্রশাসন নাকি কিছুই জানতো না। তোফাজ্জল ঘটনার আসামিরা জেলে থাকলেও এর কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নাই। তারপর হাসিনার ঘৃণা স্তম্ভ যখন মুছে ফেলা হয় তখনো প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে।
এখন আমার ভাই স্যাম্যকে হত্যা করা হলো কিন্তু প্রশাসন এর দায় নিতে চায় না। অনতিবিলম্বে এইসব ঘটনার দায় নিয়ে এই ভিসি প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।
অর্থনীতি বিভাগ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোস্তাকিম বলেন, বর্তমান প্রশাসন বিগত আট-নয় মাসে তেমন কিছুই করেনি বরং তার নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
কার্জন এলাকায় যখন আমরা হামলার শিকার হই তখন প্রক্টর বলেন, এটা ক্যাম্পাস এলাকায় ভেতরে না। এর দায় আমাদের না। আবার যখন আমার ভাই সাম্যকে হত্যা করা হয় তখনও একই কথা বলেন।
আমরা প্রক্টরকে আর নিরাপদ মনে করি না। অনতিবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
সাম্যের বন্ধু নীল নাহিয়ান বলেন, যখন আমরা সাম্যের লাশ দাফন করি তখন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, যারা আমার বন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিচার নিশ্চিত না করে আমরা থামবো না।
প্রশাসন তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মূল হত্যাকারীদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। সরকার চাইলে এই হত্যাকারীদের ধরা কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন, আমার বন্ধুর লাশ নিয়ে রাজনীতি করবেন না। যারা আমার বন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি দেখতে চাই।
পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তারা শাহবাগ থানায় দিকে মিছিল নিয়ে যায় এবং মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।