যেকোন প্রকার ট্যাগিং ভয়াবহ: অধ্যাপক মামুন | বিবিধ নিউজ

যেকোন প্রকার ট্যাগিং ভয়াবহ: অধ্যাপক মামুন

যেকোন প্রকার ট্যাগিং ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #গাজা

যেকোন প্রকার ট্যাগিং ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে অধ্যাপক মামুন এ মন্তব্য করে।

পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

যেকোন প্রকার ট্যাগিং কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা গতকালকে ‘টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার এক আর্টিকেলের মাধ্যমে অর্ঘ্য সেনগুপ্ত দেখিয়ে দিয়েছেন। কলকাতায় জন্ম নেওয়া অর্ঘ্য সেনগুপ্ত হলেন বিদি সেন্টার ফর লিগ্যাল পলিসির প্রতিষ্ঠাতা ও গবেষণা পরিচালক। তিনি লিখেছেন ছয় মিলিয়ন ইহুদিকে নির্মমভাবে হত্যা করার মাধ্যমে যেই গভীর ট্র্যাজেডি তৈরি হয়েছিল সেটাকেই তারা এখন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে পৃথিবীর বাকি সবার ট্র্যাজেডির আখ্যান তৈরি করছেন।

এখন কেউ ইহুদি বা ইসরায়েল নিয়ে প্রশ্ন তুললেই অ্যান্টি–সেমিটিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার জীবন হারাম করে দেয়। যেমন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এমআইটির ক্লাস প্রেসিডেন্ট মেঘা ভেমুরিকে তার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি, কারণ তার আগের দিন এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গাজায় চলমান যুদ্ধের নিন্দা করে তিনি একটি ভাষণ প্রদান করেছিলেন। শুধু সে না। হার্ভার্ড, কলাম্বিয়াসহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গাজায় ঘটে যাওয়া নির্মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদেরকে অ্যান্টি–সেমিটিক আখ্যা দিয়ে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরও করে দেওয়া হচ্ছে।

যেকোন প্রকার ট্যাগিং কতটা খারাপ তা নিশ্চই এখান থেকে বুঝতে পারি। আমাদেরকে সকল প্রকার ট্যাগিং থেকে মুক্ত হতে হবে। সবাইকে সম্মানের সাথে মুক্তভাবে যেকোন বিষয়ে কথা বলতে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য অর্ঘ্য সেনগুপ্ত, বা মেঘা ভেমুরিকেতো মুসলমান হতে হয়নি। মানুষ হলেই মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারা উচিত। অথচ সম্প্রতি ইন্ডিয়ান প্লেন ক্র্যাশ হলে সেখানকার সংবাদের নিচে অনেকের হাহা রিঅ্যাক্ট বা খুশি প্রকাশ করে কমেন্ট কি মানুষের পরিচয় বহন করে? সবাইকে অর্ঘ্য সেনগুপ্তের লেখাটি পড়ার অনুরোধ করছি। কমেন্ট থ্রেডে লিংক দিয়েছি।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #গাজা