বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লেখাপড়া ও গবেষণার জন্য নাকি রাজনীতি আর ঝগড়াঝাটি করার জন্য প্রশ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনের।
শনিবার (১৪ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে অধ্যাপক মামুন এ মন্তব্য করেন।
তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
ভারত কিভাবে টাটা এবং আইআইটিগুলোর (ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান বা ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি) হাত ধরে সেমিকন্ডাক্টর চিপ ডিজাইন এবং চিপ তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে দেখুন।
১। ভারতে সেমিকন্ডাক্টর শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে আইআইটি বোম্বে। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি সিম্পললার্ন-এর সহযোগিতায় চালু করেছে একটি ১৮ মাসব্যাপী অনলাইন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম, যার বিষয়বস্তু হলো ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) ডিজাইন। এই কোর্সের লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের চিপ ডিজাইন ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য উচ্চমানের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, যা ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২। দ্য ইকনমিক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স তাদের কর্মীদের তাইওয়ানে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাচ্ছে, যাতে তারা গুজরাটের ধোলেড়ায় প্রতিষ্ঠিতব্য সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন, অ্যাসেম্বলি ও টেস্টিং সুবিধা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে পারে। টাটা সন্স লিমিটেডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক প্রতিষ্ঠান টাটা ইলেকট্রনিক্স, তাইওয়ানের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন (পিএসএমসি) এর সঙ্গে যৌথভাবে এই ধোলেড়া প্রকল্পটি গড়ে তুলছে।
শুধুই কি ভারত? ভিয়েতনামও একই পথে হাঁটছে। আমাদের বুয়েট কিংবা আমাদের সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোথায়? আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ বছরের বেশি বয়সি সেমিকন্ডাক্টর সেন্টারইবা কোথায়? এই সেন্টারকে নামকা ওয়াস্তে একটা কুরে ঘর বানিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে কোন বড় বিজ্ঞানী আছে? আছে কোন পোস্ট-ডক বা পিএইচডি প্রোগ্রাম? দর্জিগিরি করে আমাদের গার্মেন্টস কর্মীদের ঠকিয়ে আর কত ব্যবসা চলবে? আছে আমাদের কোন দূরদৃষ্টি? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লেখাপড়া ও গবেষণার জন্য নাকি রাজনীতি আর ঝগড়াঝাটি করার জন্য?