যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে ইরানের দূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেছেন, ইরানের প্রতিরোধের সময়, প্রকৃতি এবং মাত্রা নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী।
রোববার (২২ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ডাকা জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পষ্ট আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চাপেই যুক্তরাষ্ট্র ‘অযথা ও ব্যয়বহুল’ যুদ্ধে জড়িয়েছে।
ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার জন্য ১৫ জুন প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, কিন্তু ইসরায়েল দুই দিন আগে হামলা চালিয়ে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবিলম্বে এই অন্যায় ও বিধ্বংসী হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন আমির সাইদ। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে পরিষদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কিছু পশ্চিমা দেশ যেমন ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নীরবতা, দ্বিচারিতা ও সহযোগিতা সমানভাবে নিন্দনীয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে সম্পূর্ণভাবে জবাবদিহির আওতায় আনে এই আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের এই বেঠকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
রাশিয়ার প্রতিনিধি আমেরিকার হামলাকে দায়িত্ব জ্ঞানহীন বলে সমালোচনা করেছেন। চীনের প্রতিনিধি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন-ইরান যদি ‘আবার মহান’ হতে না পারে, তাহলে কেন সেই শাসনব্যবস্থা বদলানো হবে না?