নেত্রকোণার দুর্গাপুরে পুলিশ ডেকে বন্ধুকে ছাত্রলীগ বলে আটক করিয়ে হোটেল কক্ষে ঢুকে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ছাত্রদল নেতার জামিন হয়নি।
বুধবার বিকেলে নেত্রকোণার প্রধান বিচারিক হাকিম আদালত গ্রেফতার ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয়কে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এ আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ হাকিম মঞ্জুরুল ইসলাম শুনানি শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে তথ্য দেন এ আদালতের নাজির মো. নূরুজ্জামান। বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাদী হয়ে করা মামলায় পুলিশ দুর্জয়কে আদালতে উপস্থাপন করে।আরো পড়ুন : বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু বউকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার!
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে দুর্গাপুরে একটি হোটেলের কক্ষ থেকে পুলিশ দুর্জয়কে আটকের ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
২৪ বছর বয়সী দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেরা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। আটকের পর পর তাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, নেত্রকোণা শহরের ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে ঠিক হয়।তিনি বলেন, সোমবার হবু স্বামীর সঙ্গে মেয়েটি দুর্গাপুরে বেড়াতে আসেন। ছেলেটির সঙ্গে ছাত্রদল নেতা দুর্জয়ের বন্ধুত্ব আগে থেকে ছিল। তার কথামত বিরিশিরিতে একটি হোটেলে ওঠেন তারা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে হবু স্ত্রীকে হোটেলে রেখে খাবার কিনতে যান ছেলেটি। তখন ছাত্রদল নেতা দুর্জয় পুলিশকে ফোন করে বলেন, তার বন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেন দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে।
আটক হওয়ার পর ওই ছাত্র পুলিশকে বলেন, তার হবু স্ত্রী হোটেলের কক্ষে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পুলিশ তাকে নিয়ে হোটেলের কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ অবস্থায় ছাত্রীর চিৎকার শুনতে পায়। উদ্ধারের পর মেয়েটি অভিযোগ করেন, দুর্জয় তাকে ‘ধর্ষণ’ করেছেন।পুরো ঘটনাটি বড়জোর আধা ঘণ্টার মধ্যে ঘটেছে তুলে ধরে ওসি বলেন, ছাত্রীটি বাদী হয়ে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় দুর্জয়কে গ্রেফতার করা হয়।/