ঢাবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও কফিন মি*ছিল | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ঢাবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও কফিন মি*ছিল

গয়েবানা জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, ঢাবি শিবার নেতা মাজহারুল ইসলাম সহ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৮ বছরের শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গয়েবানা জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, ঢাবি শিবার নেতা মাজহারুল ইসলাম সহ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল শুরু হয়।মিছিলটি ভিসি চত্বর থেকে শুরু হয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া', ‘তোমার বোন আমার বোন, আছিয়া আছিয়া', ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, হ্যাং দ্যা রেপিস্ট', ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনীদের বিচার চাই', ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেনো বাইরে', ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই', ‘জুলাইয়ের বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই' ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে।

ঢাবি শিক্ষার্থী মেঘলা বলেন, আমরা যে এত আন্দোলধ করলাম আছিয়ার এই ঘটনার পর। কিন্তু কী লাভ হলো, আজকেও রামপুরায় এক মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, আছিয়া যে জীবন যুদ্ধ করতে করতে মারা গেছে সেই লড়াইয়ে সে জিততে পারেনি। কিন্তু সেই লড়াইয়ের ভার আজকে আমাদের উপর দিয়ে গেছে। আমরা যে পাচ দফা দাবি দিয়েছি তার প্রথম দফায় ছিল ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের আইনের প্রতি ততক্ষণ শ্রদ্ধা থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ওই আইন বাচার করতে পারবে। যদি বাচার করতে না পারে তাহলে ওই আইনের খাতা পুড়িয়ে ফেলুন। আমরা প্রকাশ্যে ধর্ষকদের ফাঁসি দেখতে চাই।

সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, আমরা যখন নারী নিপীড়নের বিচার চাইতে রাজপথে নামি তখন আমাদেরকে ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়। আমরা এমন বাংলাদেশ চায় যেখানে আর কোন আছিয়াকে আর ধর্ষিত হতে হবে না। আমরা আমাদের ধর্ষণ বিরোধী মঞ্চ থেকে দাবি জানিয়েছি যে ধর্ষণ বিরোধী একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, সারা দেশে ধর্ষিত নারীদেরকে প্রমাণ দেওয়ার জন্য ২ টা ল্যাব রয়েছে। যার দুটোই ঢাকায়। তাহলে, কখন এই ল্যাবে আলামত সংগ্রহ হবে, বিচার হবে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য আইনজীবীর হাতে ছেড়ে দেন। তারা এত কিছু বোঝেন না।

গায়েবানা জানাজা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, এ শিশুটির জন্য পুরো জাতি পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে এ ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, আর কোনো শিশু এভাবে আর হারিয়ে না যাক। দেশের বিচার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হোক।আছিয়ার পরিবারকে আল্লাহ হেফাজত করুক। আমরা যার যার জায়গা থেকে তার পরিবারের পাশে দাঁড়াবো।