আবাসন সমস্যা নিরসনে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও, নানান জটিলতায় চালু করা যায়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল। তবে দীর্ঘ ৯ বছরের বেশি সময় পর ছাত্রদের অবশেষে হলটির উদ্বোধন করেছে প্রশাসন।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে হল মিলনায়তনে এটি উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এক হাজার শিক্ষার্থী নতুন দুই হলে ওঠাতে পেরেছি। আমরা রাতারাতি সব শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সুবিধা দিতে পারছি না। তবে আমরা আরও বেশ কয়েকটি হল নির্মাণের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
নতুন অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. এ জি এম নিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘২০১৫-১৬ সালে এই হলের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয় এবং ২০১৮ সালে হলে ছাত্র ওঠার কথা ছিলো কিন্তু গত এক দশকে তা সম্ভব হয়নি। আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রকৌশল দপ্তরের সহযোগিতায় আমরা হলে ছাত্র তুলতে পেরেছি। তবে হলে রিডিং রুম ও ডাইনিং অনেক ছোট, এগুলো বড় করার ব্যবস্থা করতে হবে।’
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এই হল চালু করার আগে মেরামত করতে হয়েছে। এই হল ভিত্তিপ্রস্তর থেকে চালু করতে প্রায় এক যুগ সময় লেগেছে। চারজন হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করার পরও তারা হল চালু করতে পারেনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জা।’
উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটি পূর্ণ আবাসিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নিজস্ব রাস্তা করার কথা উল্লেখ ছিলো। কিন্তু সেটা এখনো পূরণ হয়নি। আমরা প্রশাসনের নিকট দাবি করছি, আপনারা এই দুই দাবি পূরণে সরকারকে অনুরোধ করবেন।’
উল্লেখ্য, চবি প্রশাসন অতীশ দীপঙ্কর হলের নির্মাণের কাজ শুরু করে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি। ৫ হাজার ৪৭৮ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে সর্বমোট ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।