আক্রান্ত ইরান: আরব নেতারা নিন্দায় সীমাবদ্ধ | বিবিধ নিউজ

আক্রান্ত ইরান: আরব নেতারা নিন্দায় সীমাবদ্ধ

ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলায় সামরিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরান।

#ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ #ইরান #ইসরায়েল

ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলায় সামরিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরান। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ একক বা জোটগতভাবে ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো তেহরানের সহায়তাপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবস্থা বেশ দুর্বল হওয়ায় ইতিহাসের চরম এই ক্রান্তিকালে দেশটি এই মিত্রদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। চরম এই সংকটকালে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটিকে তাই অনেকটাই নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে।

ইরানে গত শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্রাতৃপ্রতিম ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনও প্রায় একই সুরে বিবৃতি দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ ইরানের বর্তমান শাসকদের পছন্দ করে না। প্রকাশ্যে তারা ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেও তাদের প্রকৃত চাওয়া ভিন্ন। রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যই তারা এসব নিন্দা জানাচ্ছে। ইরানকে দুর্বল করাটাই অনেক উপসাগরীয় দেশের প্রকৃত চাওয়া। সৌদি আরব ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল, যা গত বছর চীনের মধ্যস্থতায় পুনঃস্থাপিত হয়েছে।

আব্রাহাম চুক্তির প্রলোভন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন শুরু করে ইসরায়েল, যা আব্রাহাম চুক্তি নামে পরিচিত। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো এতে সই করেছে। সৌদি আরবসহ আরও কিছু দেশের এই চুক্তিতে সই করার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অত্যাধুনিক সামরিক ও নজরদারি যন্ত্রপাতি পেতে আগ্রহী। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা এসব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। অন্যদিকে উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ ইরানকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে। এসব হিসাব-নিকাশের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা অনেকটা নীরব প্রত্যক্ষদর্শীর ভূমিকা পালন করছে।

#ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ #ইরান #ইসরায়েল