`আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে এবং এর প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে' উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বৃহস্পতিবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন একটি পোস্ট করেন।
এনসিপির শীর্ষ নেতা ও সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে পাল্টা পোস্ট করেন।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন , শুধুমাত্র যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ করার এই "প্রহসন" মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আওয়ামী লীগকে একটি "সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন" হিসেবে ঘোষণা করে দলটিকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার এবং আইসিটি আইনে দল হিসেবে তাদের বিচার করার বিধান যুক্ত করার দাবি জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার প্রশ্নে অনাস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। আজ রাতেই আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফয়সালা হবে ।
ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লেখেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিস্ট ও খুনী আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।
আসামিদের জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। বিচার প্রশ্নে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে।
তিনি লেখেন, জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনীদের বিচার। এবং মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনও রাজনীতি করতে পারবে না।
আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে। আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠবো না।
পোস্টে এনসিপি আহ্বায়ক লেখেন, সবাই চলে আসুন। জুলাইয়ে সব শক্তি, সব শহীদ পরিবার ও আহতদের আহ্বান জানাই রাজপথে নেমে আসুন। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
উল্লেখ্য, এর আগে অপর এক ফেসবুক পোস্টে রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনরা সামনে অবস্থান নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।