ইউএনওর দাপটে কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা আওয়ামী লীগ নেতার | বিবিধ নিউজ

ইউএনওর দাপটে কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা আওয়ামী লীগ নেতার

ছেলে ইউএনও এরশাদ মিয়ার ক্ষমতার দাপটে নেত্রকোনার মদনে কবরস্থান দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্যা মিয়ার বিরুদ্ধে।

#ইউএনও

ছেলে ইউএনও এরশাদ মিয়ার ক্ষমতার দাপটে নেত্রকোনার মদনে কবরস্থান দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্যা মিয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্যা মিয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার আসামি। যদিও তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যা মিয়া। তার বাড়ি পদারকোনা গ্রামে। তার ছেলে এরশাদ মিয়া বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই সুবাদে প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ইউএনও তার বাড়ির পেছনে শতবছরের পুরোনো পাঁচ কাঠা জমি নিয়ে কবরস্থান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাবা বিদ্যা মিয়ার নামে নামজারি করিয়ে নেন। ইউএনও এরশাদ মিয়া কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ওই ভয়ে বিপ্লবের পর ময়মনসিংহ সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেনানিবাসে অবস্থানকারীদের তালিকায় তার সিরিয়াল নম্বর ৯৫। পিতা আওয়ামী নেতা বিদ্যা মিয়া ও ভাই যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দীন গত বছরের ১৮ জুলাই ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করায় ছাত্ররা মদন থানায় মামলা করেন। এতে বিদ্যা মিয়া ৫৬ নম্বর আসামি।

অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যা মিয়া আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে গ্রামের চলাচলের রাস্তা দখল করে বাথরুম তৈরি করেন। পদারকোনা গ্রামের পুরোনো সেচ স্কিম নিজ নামে লাইসেন্স করিয়ে নেন। অন্যের জমি দখল করে স্যালো মেশিন বসিয়েছেন।

দখলদারিত্বে বাবার মতো পটু যুবলীগকর্মী ছেলে নাসির উদ্দীনও। স্থানীয়রা জানান, নাসির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন জলমহাল দখল করেছেন। বেড়িবাঁধ কেটে মাছ শিকার করেছেন। ইউএনওর ভাই বলে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তখনকার প্রশাসন। তাদের ভয়ে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালিয়ে থাকতেন।

স্থানীয় বিএনপিকর্মী আল আমীন বলেন, ইউএনও এরশাদ আওয়ামী লীগের সুপারিশে চাকরি পাওয়ার পর থেকে আমাদের ওপর এমন কোনো অত্যাচার নেই যা করেনি। তার

বাবা বিদ্যা মিয়া আমাদের সেচ ক্রিম দখলে নিয়েছেন। আমার চাচার জমি দখল করে স্যালো মেশিন বসিয়েছেন। আমাদের চলাচলের রাস্তায় টয়লেট নির্মাণ করেছেন। শেষে করবস্থান নিজ নামে নামজারি করিয়েছেন। এতদিন ঢাকায় পালিয়েছিলাম। বিপ্লবের পুর বাড়ি এসেছি। এসে দেখি এ অবস্থা।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউএনও এরশাদ মিয়া জানান, ৫ আগস্টের পর আমার নিজের নিরাপত্তার জন্য ময়মনসিংহ সেনাবানিবাসে অবস্থান নিয়েছিলাম। গ্রামের বাড়িতে যে এত কিছু হয়েছে, আমি তা জানি না।

মদন উপজেলায় দায়িত্বরত ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, বেআইনিভাবে কবরস্থান নামজারি হয়ে থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

#ইউএনও