সাত বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাইরে এক সময়ের ‘ফিনিশার’ তকমা পাওয়া ক্রিকেটার নাসির হোসেন। ৩৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এখন বাংলাদেশ দলের অতীত।
এই বয়সে জাতীয় দলে ফেরার আশা কতটুকু করছেন—সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসির বলেন, ‘বাংলাদেশে সবই সম্ভব ভাই। আসল কথা হচ্ছে যে যদি আপনার সুযোগ-সুবিধা থাকে, জাতীয় দলে অবশ্যই আবার খেলতে পারবেন। কারণ, ইনশাআল্লাহ সামনের বার প্রিমিয়ার লিগ খেলব, ডিপিএল খেলব। জাতীয় দলে বললেই তো হবে না। পারফর্ম করে খেলতে হবে। চেষ্টা করব পারফর্ম করে আসার।’
এক আইপিএল থেকেই প্রতি বছর ঝাঁকে ঝাঁকে ক্রিকেটার বেরিয়ে আসে ভারতের। এমনকি আইপিএলে নতুন কোনো ক্রিকেটারের একাদশে সুযোগ পাওয়াটাও অনেক কঠিন ব্যাপার। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আসতে হয় বলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁরা পরিণত হয়ে আসেন।
গড়েন একের পর এক রেকর্ড। তাই তো রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও টি-টোয়েন্টিতে ভারত দুর্দান্ত খেলছে। অন্যদিকে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মর্তুজা—বাংলাদেশের সেই পঞ্চপাণ্ডব ছাড়া অন্যান্য ক্রিকেটাররা সেভাবে গড়ে ওঠেননি। লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ বছর খেলার পরও তাদের শিক্ষাপর্ব চলছে।বাংলাদেশের ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা বলতে গিয়ে নাসির তুলনা করেছেন ভারতের স্কুল ক্রিকেট কাঠামোর সঙ্গে। ৩৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, আমার কাছে যেটা মনে হয়, আপনি যদি সেভাবে চিন্তা করেন, আমি বলব যে ভারতের একটা স্কুলে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, আমাদের জাতীয় দলে সেটি নেই। সে অনুযায়ী বলব যে বাংলাদেশ ভালো খেলে। তবে আরও ভালো খেলার সুযোগ ছিল। ভালো খেলতে পারত। আশা করি সব সময় ভালো খেলুক এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসুক।’
২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১৯ টেস্ট, ৬৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নাসির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১৫ ম্যাচে করেছেন ২৬৯৫ রান। ২ সেঞ্চুরি ও ১৪ ফিফটি করেছেন। বোলিংয়ে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট।