গ্রাহকের সুবিধার্তে নতুন ডেটা প্যাকেজ নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। গ্রাহকের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার মাধ্যমে দেশজুড়ে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ডেটা প্যাকেজ চালু করা হয়েছে।
এখন ডেটার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, ভয়েস মিনিটের ক্ষেত্রে ২২ শতাংশ ও মিক্স বান্ডলের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বেশি সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মুঠোফোন অপারেটর কোম্পানীটি।
মূলত, গ্রাহক-কেন্দ্রিক সুবিধা নিশ্চিতে অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবায় মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় বাংলালিংক।
একই সঙ্গে গ্রাহকদের ডিজিটাল যাত্রা ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
একারণেই উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে গ্রাহক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে, কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই নির্দিষ্ট কিছু প্যাকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন টফির বিশাল কনটেন্ট লাইব্রেরি এবং ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে আনলিমিটেড অ্যাক্সেস পাচ্ছেন। এর বাইরেও যারা আরও বেশি ডেটা বা মিনিটের বিশেষ অফার গ্রহণ করতে চান, তারা মাইবিএল অ্যাপের মাধ্যমে এই সুবিধা উপভোগের সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, ‘ডার্ক ফাইবার ও ডব্লিউডিএম (ডেন্স ওয়েভলেন্থ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) অবকাঠামোয় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের অংশগ্রহণের সুযোগসহ টেলিযোগাযোগ খাতে সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে আমরা স্বাগত জানাই।
এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে এবং গ্রাহকদের সুবিধা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা গ্রাহকের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উদ্ভাবনী ও মানসম্মত সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির আওতা আরও বিস্তৃত করতে, গ্রাহকদের জন্য উন্নত সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখতে আমরা সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যেতে চাই। এই অঙ্গীকারে বাংলালিংক সবসময়ই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজারের ক্রমপরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণের উপযোগী এবং স্থানীয় প্রকৌশলীদের হাতে নির্মিত মাইবিএল সুপারঅ্যাপ, টফি ও রাইজের মতো দেশসেরা উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে বাংলালিংক।
মূলত, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিল পেমেন্ট ও মোবাইল রিচার্জের মতো বিস্তৃত পরিসরের ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে মাইবিএলকে একটি সেলফ-কেয়ার ইউটিলিটি অ্যাপ থেকে সমন্বিত সুপারঅ্যাপে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
দেশের সর্ববৃহৎ ওটিটি বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফিতে রয়েছে টিভি চ্যানেল ও মুভির সুবিশাল লাইব্রেরি; একইসঙ্গে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে চাহিদা মতো কনটেন্ট দেখার সব সুযোগ রয়েছে এতে।
এছাড়া, দেশের তরুণদের নানারকম ডিজিটাল চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নিয়ে আসা হয়েছে এআই-নির্ভর লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড রাইজ।