জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলার নামে ‘কালো আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
সংগঠনের নেতারা বলেন, অবিলম্বে দুর্নীতিপরায়ণ ও বিতর্কিত শীর্ষ কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যাবো।
শুক্রবার (২ মে) ফোরামের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার প্রশাসনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার নামে যে কঠোর আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তা অন্যায়ভাবে কণ্ঠরোধ ও বৈধ প্রতিবাদ দমন করার অপচেষ্টা। এ ধরনের কালো আইন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে ফোরাম অভিযোগ করে, ফলে প্রশাসনে স্থবিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এসব কর্মকর্তাদের অপসারণ করার জন্য সুনিদিষ্ট তথ্যসহ তালিকা সরকারের কাছে জমা দিয়েছি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য যে, বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার অনৈতিক, স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা ও অবৈধ হস্তক্ষেপের কারণে এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
ফলে কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনে ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও ‘ওপেন সিক্রেট’- এ পরিণত হয়েছে; যা দেশ ও জাতির জন্য চরম অবমাননাকর ও লজ্জাজনক।
প্রশাসনের মাঝে ঘাপটি মেরে বসে থাকা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত এবং নিয়মিত চাকরিতে নিয়োজিত হাসিনার দোসর একটি চক্র গোটা প্রশাসনকে সরকারের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুধু আইন দিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার পরিচয় দিতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনে স্থবিরতা আরও বাড়বে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।