পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে বিএনপির অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের জেরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে একটি বাজারে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ ঘটনার পর রাত তিনটার দিকে যৌথবাহিনী নুরুল হক নূরকে উদ্ধার করে গলাচিপা নিয়ে আসেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের পর আজ শুক্রবার পৌর এলাকায় প্রায় একই সময় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, গলাচিপা উপজেলাধীন চরবিশ্বাস ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সংঘটিত সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং দুই পক্ষের যুগপৎ কর্মসূচির ঘোষণার প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে বলে গলাচিপা থানার অফিসার ইন-চার্জ জানিয়েছেন।
সেহেতু, আমি মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে জনগণের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে গলাচিপা পৌরসভা ও এর আশেপাশের এলাকায় ১৩
জুন সকাল ৮টা ঘটিকা হতে ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করলাম। এই সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সব প্রকার সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজামায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম। উল্লিখিত আদেশ লংঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এর আগে উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে একটি ফেসবুক পোস্টে নুরুল হক অভিযোগ করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুনের অনুসারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় প্রয়াত দলীয় কর্মী বাদল মেম্বারের স্মরণসভা শেষে ফেরার পথে ভিপি নুরুল হক নুর হামলার শিকার হন। পথরোধ করে তার ওপর হামলা চালানো হয়, ভাঙচুর করা হয় ৮-১০টি মোটরসাইকেল। প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ভোররাত ৪টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা ডাকবাংলোয় নিয়ে যায়।
নুরুল হক তার স্ট্যাটাসে প্রশাসনের দুর্বলতার কথা তুলে ধরে লিখেছেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসেও ‘সন্ত্রাসীদের’ রাস্তা থেকে হটাতে পারেনি।
এক ভিডিও বার্তায় নুর বলেন, ‘আমরা রাতে স্মরণসভা শেষ করে ফেরার পথে হাসান মামুনের অনুসারীরা গাছ ফেলে, রড, রামদা নিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয়দের মারধর করা হয়। তারা ভাঙচুর করার পাশাপাশি পুড়িয়ে দিয়েছে একাধিক মোটরসাইকেল।’
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।