বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, মাহফুজ আলম এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই দাবি জানান।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য এই উপদেষ্টাদের অপসারণ করা প্রয়োজন।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। যা সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পরামর্শ দেন। যা শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করা হয়। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কমিশনের ভূমিকা উদ্দেশ্যমূলক ও রহস্যজনক।
তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যু নিয়েও কথা বলেন এবং আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশন করার দাবি জানান।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জন–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারের যা করণীয় তা যথাসময়ে না করে চাপের মুখে করার সংস্কৃতি সরকারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে।
তিনি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, জন–আকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম এজেন্ডা হওয়া উচিত। অন্যথায়, বিএনপি সরকারের প্রতি সহযোগিতা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একই সঙ্গে চলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।