একটি ফাজিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি এবং জামায়াতের সহস্রাধিক নেতাকর্মী। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার মাদ্রাসাটির নাম কচুয়া আহমদিয়া মাদ্রাসা।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের অদক্ষ ব্যবস্থাপনায় বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে মাদরাসা এবং মাদরাসাসংলগ্ন রামগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলার ওই দুই দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা মারমুখী অবস্থান নেয়। এ সময় রিয়াদ হোসেন নামের চাটখিলের একজন সাংবাদিক নাজেহাল হন।
ঘটনায় দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশারের নেতৃত্বে রামগঞ্জ থানা পুলিশ এবং দুই উপজেলার বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দদের সমঝোতায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদকে সভাপতি এবং স্থানীয় জামায়াত নেতা কাজী ফরিদকে সহ-সভাপতির পদ প্রস্তাবনায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, কচুয়া আহমদিয়া ফাজিল মাদরাসার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। বিশেষ করে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে মাদরাসার অনুকূলে আসা সকল সরকারি বরাদ্দ ও ব্যক্তিগত অনুদান লুটপাট হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর ওই সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয়ভাবে দাবি ওঠে। এ সময় সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতির পদে বসিয়ে মাদরাসার সব অনিয়ম তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়।
যার প্রেক্ষিতে বিএনপির দাবি সৈয়দ মাহমুদ সভাপতির যোগ্য। অন্যদিকে জামায়াতের দাবি ওই পদের জন্য যোগ্য হলেন কাজী ফরিদ। বুধবার সকালে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের না জানিয়ে সভা আহ্বান করেন। এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই উপজেলার বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা মাদরাসা সীমান্তে মারমুখী অবস্থান নেয়। সংবাদ পেয়ে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ মাহবুবুর রহমান ভিপি বাহার, ভোলাকোট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, রামগঞ্জ উপজেলা যুবদল সভাপতি কবির হোসেন কানন, যুবদল নেতা সবুজ ওমর, জামিল চৌধুরী, চাটখিল উপজেলা যুবদল নেতা জহির উদ্দিন বাবর, ছাত্রদল নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, জামায়াত নেতা হাফেজ আহম্মেদ মিরন, এনামুল হকসহ একাধিক নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখেন।