জনগণের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও বহুভাষিক শিক্ষার প্রচলন করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শুক্রবার (১৬ মে) খুলনায় দলটির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল আয়োজিত এক যৌথ সেমিনারে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ভাষা শিখতে হবে, অবশ্যই দুইটি ভাষা শিখতে হবে। আমি নিজেও অন্য ভাষা শিখেছি। আগামীতে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্তত দুইটি ভাষা শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।”
বিএনপির হাত ধরে অতীতে দেশের সব সংস্কার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপির হাত ধরেই দেশে বহু সংস্কার হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৯০ পরবর্তী সংসদীয় সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন বিএনপির মাধ্যমেই হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই পুনরায় গণতন্ত্র ফিরে আসবে।”
তিনি বলেন, “স্বৈরাচারের পতনের আগে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফার ঘোষণা দিয়েছিলাম। ৩১ দফা বাংলাদেশের রাজনীতির মহাকাব্যে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ দেশকের সব সেক্টর ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা দেশকে ধ্বংস করে পালিয়ে গেছে। এই ধ্বংস স্তূপ থেকে বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিএনপির ৩১ দফার রূপরেখা জনগণের সামনে তুলে ধরেছে।”
তিনি আওয়ামী লীগের ‘অপরাজনীতির’ বিরুদ্ধে ‘ভালো রাজনীতি’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগের ইতিহাস অপরাজনীতির ইতিহাস। আমাদেরকে এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ভালো রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে আওয়ামী বাকশাল আর কখনো দাঁড়াতে পারবে না।”
সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ড. আজিজুল হক, ফাহিম মাশরুর, ড. মারুফ মল্লিক, রেজাউল করিম রনি, ডা. সায়েম মোহাম্মদ, ড. সাইফুল ইসলাম খন্দকার, শাহীর চৌধুরী, ড. শামীমা সুলতানা এবং ড. তৌফিক জোয়ার্দার।
বক্তারা বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং আগামীতে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দলটির প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, আবদুল মোনায়েম মুন্না, এস এম জিলানী, নুরুল ইসলাম নয়ন, রাজিব আহসান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাসির উদ্দিন নাসির, শফিকুল আলম মনা, শফিকুল আলম তুহিন, আমিরুজ্জামান শিমুল, হায়দার আলী লেলিন, মনুরুজ্জামান মন্টু, শামিমুর রহমান শামিম এবং পারভেজ মল্লিক।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা জানা যায়। বাগেরহাট থেকে আসা শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি, কিন্তু পাশ করার পর চাকরি কোথায়, সেই অনিশ্চয়তায় প্রতিদিনই হতাশায় ভুগি। আমরা চাই রাষ্ট্র আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যত্নবান হোক।"
খুলনার তরুণ উদ্যোক্তা নাজমুল কবির স্বাস্থ্যসেবার নাজুক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, "গ্রামের মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা পায় না। অথচ সবার জন্য সমান স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার।"
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।