বছরের আয় ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে যে বাজেট দিয়েছে সরকার তাতে বিস্তরিত খাত ভিত্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে।
কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হবে আর কত টাকা আয় হবে তার বিশদ বিবরণও থাকে এই দলিলে। আসুন মোটা দাগে একজনরে দেখে নেই আয় ব্যয়ের এই খতিয়ান।
যেমন অর্থ উপদেষ্টা ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট দিয়েছেন তাকে বলতে পারেন আগামী এক বছরের জন্য এটাই দরকার হবে রাষ্ট্র পরিচালনায়। এক কথায় বললে বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার।
এবার আসি এর সংক্ষিপ্ত কথায় আয় হবে কত?
আয় হবে ৫ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। তাহলে অর্থ উপদেষ্টার পকেটে ঘাটতি আছে ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার।
তবে এর মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা ,তিনি অনুদান প্রত্যাশা করেন। যদি তা না যোগান দিতে পারেন তাহলে খাততি হবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার।
আয়ের টাকা কিভাবে আসবে?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কর হিসেবে আপনাদের আমাদের কাছ থেকে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা আদায় করে দিবে সরকারকে। যার মধ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর হবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। আর তাদের আওতা বর্হিভূত কর হবে ১৯ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়াও সরকার কর ছাড়া রাজস্ব আদায় করবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর অনুদান ৫ হাজার কোটি টাকা। এই নিয়ে আয়ের ৫ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার হিসেব।
ব্যয়ের টাকা কিভাবে খরচ হবে?
মোটা দাগে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা দরকার হবে রাষ্ট্র পরিচালনায়। এ অর্থ দিয়ে সরকার কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাসহ সরকারি অফিসের ব্যয় মেটানো হবে।
আর ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা দিয়ে বছরব্যাপী দেশের বিভিন্ন কাজ করা হবে।
মোটা দাগে এই দুটি ব্যয়ের খাত দেখানোর পরও অর্থ উপদেষ্টার হাতে কিছু টাকা থেকে গেলো। সেটার পরিমান- ৯ হাজার ৭৪ কোটি টাকা।
এই টাকা কি করবেন তিনি। হ্যাঁ এ টাকার থেকে ৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা বিভিন্ন লোনের কিস্তি দিবেন। আরো ৬৮৩ কোটি টাকা দরকার হবে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের খাদ্যের যোগানে।
রাষ্ট্রের আগামী এক বছরের জন্য আয় ব্যয়ের হিসেব মোটা দাগে এমনই। বিস্তারতি চিত্র-২ক এ শতকরা হিসেবেও অর্থ উপদেষ্টা তুলে ধরেছেন।
এবার অর্থ উপদেষ্টা দেশের জিডিপি দেখিয়েছেন ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার। যার থেকে মাত্র ১২-১৩ শতাংশ নিয়ে তিনি বছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন।
যা গত অর্থ বছরে শুরুতে ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা ধরা হলেও সংশোধিত বাজেটে জিডিপি ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকায় স্থির করা হয়েছে।