অনশনে ৪৩ বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ প্রার্থীরা, তিনজন অসুস্থ | বিসিএস নিউজ

অনশনে ৪৩ বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ প্রার্থীরা, তিনজন অসুস্থ

‘যত দিন না সরকার আমাদের নিরপরাধ ক্যাডারদের গেজেট দেবে, তত দিন আমাদের এই অনশন চলবে।’

#বিসিএস #৪৭তম বিসিএস

ছবি : সংগৃহীতছবি : সংগৃহীত

৪৩তম বিসিএসে দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া কয়েকজন প্রার্থী গেজেটভুক্ত করা ও ভেরিফিকেশন নীতি প্রণয়নের দাবিতে টানা পাঁচ দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন। এর মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ও গেজেট থেকে বাদ পড়া মো. ফয়সাল চোকদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুজন অনশনকারী গতকাল শুক্রবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারা চিকিৎসা নিয়ে আজকে আবার অনশনে এসেছেন। আমরা বাকি তিনজন অনশনকারী আজকে আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছি। তবে আমরা সুস্থ হওয়া মাত্রই আবার অনশন বসব। আজ সন্ধ্যা থেকে বাদ পড়া আরো কয়েকজন প্রার্থী আমাদের সঙ্গে অনশনে এসেছেন। যত দিন না সরকার আমাদের নিরপরাধ ক্যাডারদের গেজেট দেবে, তত দিন আমাদের এই অনশন চলবে।’

গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন করছেন ৪৩তম বিসিএসের গেজেটে বাদ পড়া প্রার্থীরা। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

অনশনে বসা প্রার্থীরা বলেন, ‘গেজেটের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে। কয়েকবার সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেও সরকারের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। তাই এখন আমরণ অনশন শুরু করেছি।’

আমরণ অনশনে বসা প্রার্থীরা হলেন, শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া মো. ফয়সাল চোকদার, মো. মতিউর রহমান, এম এ হান্নান সরকার, দেবাশীষ ঘোষ ও সমরজিৎ চক্রবর্তী।

দীর্ঘ পাঁচ বছরের নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষে ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা গেজেটভুক্ত হয়ে গত ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু গেজেট থেকে বাদ পড়ায় ২২৭ প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি। এরপর গেজেটভুক্ত হওয়ার দাবিতে তারা গত জানুয়ারি থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। ভেরিফিকেশন শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

#বিসিএস #৪৭তম বিসিএস