ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
পিরোজপুরের নাজিরপুরে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাকে কেন্দ্র করে দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪ জন ছাত্রী ও এক শিক্ষক গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতরা নাজিরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার বরইবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং দুই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীদের নিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুল কৌশিক সাহা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ৪ ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তারা এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ।
এদিকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় মালাকার দাবি করেন ৭ জন ছাত্রী আহত হয়েছেন। তারা হলেন: সপ্তম শ্রেণির সানজিদা আক্তার, রাইসা সুফিয়ান, নবমের জান্নাতুল আক্তার ও মাহিয়া আক্তার, দশমের মুক্তা আক্তার, অষ্টমের তুবা রহমান, ৬ষ্ঠ শ্রেণির তাসনিয়া আহত হয়েছেন। একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক বখতিয়ার হোসেন গুরুত্বর আহত হন।
জানা যায়, বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো অনুন্নত এবং শিক্ষকদের নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। বিষয়টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা প্রতিবাদ করায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের নিজ গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্সে করে নাজিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ সুমন বলেন, এ ঘটনায় আমি প্রতক্ষ্যভাবে উপস্থিত। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সুষ্ঠু সমাধান কামনা করি।
বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী স্কুলে আসার পথে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ থেকে ৮ জন ছাত্রী আগের কথা কাটাকাটির জের ধরে মারধর করে। বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি সমাধানের জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয় মালাকারকে ফোন দেই এবং আমরা উভয়ই বিষয়টি সমাধান করি। বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চলে যাওয়ার সময় আমার স্কুলের এক ছাত্র স্কুলের ওপর থেকে বেঞ্চের পায়া ভেঙে ছুড়ে মারে। এতে তাদের এক শিক্ষক আহত হয় এবং ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।