জুলাই আ*ন্দোলনকারীকে ছাত্রদলের মা*রধর: বিভাগে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

জুলাই আন্দোলনকারীকে ছাত্রদলের মারধর: বিভাগে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

বিভাগের অপর শিক্ষার্থী ফরহাদ বলেন, আকরাম ভাই খুবই মেধাবী মানুষ। বিভিন্ন জার্নালে তার লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। সনদ তুলতে এলে তাকে মারধর করে গতকাল থানায় দেয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বলেন, হ্যা, এখনো তালা দেয়াই আছে। এ বিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাসকে ফোন দেয়া হলে, তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। জানা যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থানার অবস্থান করছেন তিনি।

#জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয় #জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেনকে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পিটিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার প্রতিবাদে ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করে বিভাগের গেটে দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গতকাল রোববার স্নাতকোত্তরের সনদ তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় আসেন আকরাম। সেখান থেকে তাকে আটক করেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আকরামকে মারধরের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, প্রথম বর্ষে থাকার সময় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর দলবদ্ধ ভাবে হামলা চালায় আকরাম ও তার বন্ধুরা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আকরাম বলেন, আমার কোন পোস্ট পদবি কিছুই নেই। আমি জুলাই আন্দোলনেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছি।

এদিকে এ ঘটনায় বিভাগে তালা দিয়ে প্রাতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আকরামকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় অবস্থান করছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল ফকির বলেন, আমাদের বারো ব্যাচের আকরাম ভাইকে ট্যাগিং দিয়ে অন্যায় ভাবে থানায় দিয়েছে ছাত্রদল।

আমরা যখন তাকে ছাড়াতে থানায় আসি তখন আমাদের বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অথবা উপাচার্য না বললে আকরাম ভাইকে ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। আমরা তিনজন শিক্ষক সহ এখন থানায় অবস্থান করছি।

বিভাগের অপর শিক্ষার্থী ফরহাদ বলেন, আকরাম ভাই খুবই মেধাবী মানুষ। বিভিন্ন জার্নালে তার লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। সনদ তুলতে এলে তাকে মারধর করে গতকাল থানায় দেয়া হয়েছে।

আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বলেন, হ্যা, এখনো তালা দেয়াই আছে।

এ বিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাসকে ফোন দেয়া হলে, তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। জানা যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থানার অবস্থান করছেন তিনি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয় #জবি