ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান প্রশাসন ব্যর্থ এমন অভিযোগে উপাচার্য এবং প্রক্টরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে যোগ্য ব্যক্তিদেরকে দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। শনিবার ( ৩১ মে ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সাহস বলেন, ঢাবি ও এর আশেপাশের এলাকায় যে অনিরাপদ পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও প্রশাসন তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেনি। ক্যাম্পাসে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড ও গণিত ভবনের সামনে ঝুলন্ত লাশ দেখা গেলেও প্রশাসন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কিংবা পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
তার অভিযোগ, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ মুছে ফেলা, চারুকলা অনুষদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে অগ্নিসংযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে ধরতে ব্যর্থ হওয়া, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও তাদের সহযোগী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশে গাফিলতি করেছে প্রশাসন।
সেইসঙ্গে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠনের অবাধ বিচরণ এবং রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধর, ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট দমন ও উদ্বাস্তু নিয়ন্ত্রণে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিয়ে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদেরকে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে প্রশাসন।এ ছাড়া অনলাইনে ও অফলাইনে নারী শিক্ষার্থীরা নানাবিধ হয়রানি-হেনস্তার শিকার হয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নিতে অনীহা প্রদর্শনের মতো গুরুতর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের যে অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়ে এই প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারার ব্যর্থতা এই প্রশাসন কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না।
এ ছাড়া দ্রুততম সময়ে শহীদ সাম্য হত্যাকাণ্ডের সত্যিকার রহস্য জনগণের কাছে উন্মোচন ও বিচারকার্য যথাযথভাবে সম্পন্ন করে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের দাবিতে ছাত্রদলের চলমান এই আন্দোলন আগামী দিনে আরো তীব্রতর হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভুঁইয়া ইমনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।