মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির ডিএনএর মধ্যে ৯৪ ভাগ মিল আছে। অবিশ্বাস্য হলেও বিজ্ঞান এ কথা প্রমাণ করেছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষের মতো বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করতে পারে শিম্পাঞ্জি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রীতিমতো মানব প্রকৌশলীর মতো আচরণ করে। শিম্পাঞ্জি নিজেদের কাজের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গাছপালা বেছে নেয়, যা নমনীয় উপকরণ সরবরাহ করে।
তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে তাদের দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা।
‘আইসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে— শিম্পাঞ্জি সরঞ্জাম তৈরিতে বিশেষ ধরনের সহজাত প্রকৌশল ক্ষমতা ব্যবহার করে, যা অনেকটা আদি মানুষের সরঞ্জাম বিবর্তনের প্রতিফলনের মতোই। শিম্পাঞ্জি নিজেদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ক্ষণস্থায়ী সরঞ্জাম তৈরি করে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রকৌশলগত নির্ভুলতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তাদের। মানবসভ্যতার শুরুতে এমন প্রযুক্তিগত বিবর্তন কেমন ছিল, তা জানতে শিম্পাঞ্জির প্রকৌশল চর্চা নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, শিম্পাঞ্জি যে গাছপালা কখনও ব্যবহার করে না, তা নিয়ে যন্ত্র বানাতে আগ্রহী নয়। নিজেদের পছন্দের উপকরণ দিয়ে প্রকৌশলচর্চা করে তারা। গবেষণায় উইপোকা ধরার সময় শিম্পাঞ্জি কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানী আলেজান্দ্রা পাস্কুয়াল-গারিডো বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করেছি। বন্য শিম্পাঞ্জি উইপোকা ধরার সরঞ্জাম তৈরির জন্য নির্দিষ্ট যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহার করে সরঞ্জাম তৈরির উপকরণ নির্বাচন করে।
গবেষকদের তথ্য মতে, সরঞ্জাম ভাগাভাগির মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাও পরস্পরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে শিম্পাঞ্জি। তারা সম্ভবত এক ধরনের লোক পদার্থবিদ্যা অনুসরণ করে, যার অর্থ শিম্পাঞ্জি বস্তুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সহজাত ধারণা ধারণ করে। সূত্র- এনডিটিভি।