ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে টিএসসিজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার পর এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে টিএসসি এলাকা প্রকম্পিত হয়। এ ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি ছড়াতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, কে বা কারা মোটরবাইকে করে এসে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেলের মতো একটি বস্তু ফেলে দ্রুত চলে যায়। এ সময় বিকট শব্দে আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে।
আব্দুল ওয়াহিদ নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে। ডাকসুই নিরাপদ ক্যাম্পাস ও দেশ নিশ্চিত করার একমাত্র বিকল্প।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, খবর পেয়ে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে গেছে। সেখানে সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত রয়েছেন। শাহবাগ থানার পুলিশও সেখানে আছে। এটি ককটেল না বড় ধরনের পটকা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।
এদিকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা মনে করছি ক্যাম্পাস নিরাপদ। কিন্তু কেউ যদি ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ করার চেষ্টা করে, তাহলে এটা কৃত্রিম। আমরা মনে করি ক্যাম্পাসে ককটেল মেরে ডাকসু বন্ধ করা যাবে না। এটা অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসুর জন্য প্রস্তুত। আর আজই যখন এমন ঘটনা ঘটে, সেটা ডাকসু বন্ধ করার অপতৎপরতারই অংশ।
এর আগে, গত ১৬ জুন (সোমবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের প্রাঙ্গণে কাঠবাদামগাছের নিচ থেকে সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। ওইদিন সকাল ৬টার দিকে আইন অনুষদের সামনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী ককটেলগুলো দেখতে পান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমকে জানান। পরে শাহবাগ থানা-পুলিশকেও জানানো হয়। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ককটেলগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।