ঘটনাটি ঘটেছে ধনবাড়ী পৌরসভার সাকিনা মেমোরিয়াল গালর্স হাইস্কুলে এসএসসি পরীক্ষার এক নম্বর হলে ধনবাড়ীর ভাইঘাট টেকনিক্যাল স্কুলে। রাবেয়া জাহান নামের এক শিক্ষিকার পরিবর্তে হিমেল হোসেন নামের এক কলেজছাত্র পরীক্ষার হলে গার্ডের দায়িত্ব পালনকালে ধরা পড়েন।
সাকিনা মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্র সচিব গোলাম রব্বানী জানান, রাবেয়া জাহান নামের এক শিক্ষিকার পরিবর্তে হিমেল হোসেন নামের একজন কলেজছাত্র এসএসসি পরীক্ষার কারিগরি শাখার এক নম্বর হলে পরীক্ষার গার্ডের দায়িত্ব পালন করেন।
এমন সময় হল পরির্দশনে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল হাসান স্যারের সন্দেহ হলে পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভুয়া শিক্ষক বলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা রাবেয়া জাহান সাংবাদিকদের জানান, আমি রোববার পরীক্ষার হলে যেতে পরব না, এ কথা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার নজরুল স্যার, পরীক্ষা কেন্দ্রের শামীম স্যার ও অফিস সহকারী নাজিম ভাইকে জানিয়েছিলাম গতকাল রাতেই। তাদের বলেই আমি কলেজছাত্র হিমেলকে পরীক্ষার হলে আমার পরিবর্তে প্রক্সি ডিউটি করার জন্য পাঠিয়েছিলাম।
তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একাডেমিক সুপারভাইজার স্যারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, তিনি চিন্তা করতে না করছেন। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি হেসে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, রাবেয়া জাহান নামের এক শিক্ষিকার পরিবর্ততে হিমেল হোসেন নামের এক কলেজছাত্র পরীক্ষার হলে প্রক্সি গার্ড ডিউটি শুরু করেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পরে তিনি ধরা পড়েন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভুয়া শিক্ষক এবং ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া শিক্ষক কলেজছাত্র হিমেল ও রাবেয়া জাহান নামের যে শিক্ষিকা তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সচিব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ভুয়া শিক্ষককে আটক করেছে। ঘটনাটি জানার পরেই আমি ও এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে এ ঘটনায় হল সুপার বা কেন্দ্র সচিব এবং শিক্ষা অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে তাদেরকেও ওই মামলায় আসামি করা হবে।
আটককৃত ভুয়া শিক্ষক হিমেল হোসেন (২৩) মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের হাসিল পালবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। হিমেল মধুপুর সরকারি কলেজের বিএসএস’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।