কলেজের ভবন নির্মাণকাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার | কলেজ নিউজ

কলেজের ভবন নির্মাণকাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

তিন বছর ধরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার থানচি কলেজের আইসিটি ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ঠিকাদারের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

#শিক্ষার্থী #শিক্ষা ভবন #প্রধান শিক্ষক #আইসিটি

তিন বছর ধরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার থানচি কলেজের আইসিটি ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ঠিকাদারের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ডিজিটাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজটির শতাধিক শিক্ষার্থী।

সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের রড, খুঁটি ও বিম বৃষ্টির পানিতে মরিচা ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আইসিটি ক্লাসে ডিজিটাল উপকরণ ও প্র্যাকটিক্যাল না থাকায় শিক্ষার্থীরা ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।

শিক্ষার্থী ডমেথুই মারমা, কোখ্যাই খুমি ও রত্না ত্রিপুরা জানান, ক্লাস হয় ঠিকই। কিন্তু হাতে-কলমে প্র্যাকটিক্যাল হয় না। তাই গতবার অনেকের ফলাফল খারাপ হয়েছে। এ বছরও আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রায় ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ফাউন্ডেশনসহ একটি একতলা ভবনের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পান বান্দরবানের এক ঠিকাদার। যিনি পরে লাভের আশায় স্থানীয় বাসিন্দা হ্লামংচিং মারমার কাছে কার্যাদেশটি হস্তান্তর করেন। ঠিকাদার হ্লামংচিং মারমা শুরুতে মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এরপর একাধিকবার কলেজ কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলেও কাজ আর এগোয়নি।

এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘসূত্রতার কারণে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। দ্রুত আইসিটি ভবনের নির্মাণ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় যুক্ত করার দাবি উঠেছে।

কলেজের অধ্যক্ষ ধমিনিক ত্রিপুরা বলেন, নানা সময় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। ৩ বছরেও কাজ শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঠিকাদার সংস্থাকে ২৫ লাখ টাকা রানিং বিল দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু পরে তারা লোকসানের অজুহাতে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে কাজ থেকে সরে দাঁড়ায়। আমরা কার্যাদেশ বাতিল করেছি। সহকারী প্রকৌশলী পাঠিয়ে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।

#শিক্ষার্থী #শিক্ষা ভবন #প্রধান শিক্ষক #আইসিটি