জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণবিরোধী সসচেতনতামূলক প্রদর্শনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এ বিতর্কের আয়োজন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির।
সচেতনতামূলক এ প্রদর্শনী বিতর্কের মোশন ছিলো 'এই সংসদ মনে করে, আইনি কাঠামোর দুর্বলতাই ধর্ষণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ'। এতে বিরোধী দল হিসেবে অংশ নেন মেহেদী হাসান, কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ও নাঈম হুদা। এ ছাড়া সরকার দল হিসেবে অংশ নেন সজিবুর রহমান, মাঈন আল মুবাশ্বির ও জাকির হোসেন।
এ সময় সরকার দলের বিতার্কিকরা বলেন, আসলে ধর্ষণের কোনো বিচার আমাদের দেশে হয়না। এর পেছনে কাজ করে দুর্বল আইনি কাঠামো। এগুলো অত্যান্ত দুর্বল অবস্থায় আছে। দেশে আইন প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। আইনি প্রক্রিয়া নারীবান্ধব না। কেউ থানায় গিয়ে বিচার দিবে তখন জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সচেতনতা বাড়লেই ধর্ষণ কমবে না। এটি কমানোর জন্য প্রয়োজন আইন কাঠামোর শক্তিশালী করা।
বিরোধী দলের বিতার্কিকরা বলেন, ধর্ষণের কারণ কোনো আইনি দুর্বলতা না, এটা মূলত নৈতিক দুর্বলতা। মানুষকে শুধু মাত্র আইনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। কোনো আইন কীভাবে চলবে সেটা নির্ভর করে সমাজের চলিত রীতির ওপর। সমাজের অধিকাংশ মানুষ যদি সচেতন হতো তাহলে আজকে এই সব ধর্ষণের ঘটনা ঘটতো না।
বিতর্কে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ, জবি ডিবেটিং সোসাইটির দপ্তর সম্পাদক মুনিব মুসান্না ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জাকারিয়া। ধর্ষণবিরোধী সচেতনতামূলক প্রদর্শনী বিতর্কে হ্যাঁ ও না ভোটে উভয় পক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।