সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে সেসিপের যুগ্মপ্রোগ্রাম পরিচালক মো.আমিনুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক শামসুন্নাহারসহ তিন কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রকল্পে অনিয়ম এবং বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আগামী ১ জুন বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সেসিপ প্রকল্প, ঠিকাদারি, ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেড, বাংলাদেশ সাইন্স হাউজ (জেভি) , নিম্নমানের সফটওয়্যার, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সেসিপ প্রকল্পের একজন উপপরিচালককে নিয়ে গত বছর একাধিক চিঠি চালাচালি ও ফাইল ওঠানামা হয়েছে। একটি চিঠিতে বলা হয়েছে ‘সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, বিদেশিদের নিকট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। অন্যসূত্র মতে, ১৮০ কোটি টাকা মেরেছে মহাপরিচালকসহ কয়েকজন।
কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়ে শোকজ চিঠিও দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন মহাপরিচালক ও সেসিপ ডিডিকে। তবে, শোকজের জবাবে সেসময় সন্তুষ্ট হতে পারেননি তৎকালীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তবে, তৎকালীন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, সেসিপের উপপরিচালক শামসুন্নাহারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদকে চিঠি লিখেছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন।