ঢাকার একটি আদালতের এজলাসের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে গত শনিবার দুপুরে এক হত্যাচেষ্টা ও চাঁদা দাবি মামলায় আসামির জামিন শুনানির সময় বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণের ঘটনা ঘটে। জামিন না দেওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটকে আওয়ামী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তকমা দেওয়া হয়। তাকে গালিগালাজের ঘটনাও ঘটে। আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) ছুড়ে ফেলা হয়।
এ ঘটনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলমসহ আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। গত রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় তারা।
অন্য আইনজীবীরা হলেন- জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক মিলন, ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জাবেদ, অ্যাডভোকেট এস এম ইলিয়াস হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল আলম জহির।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারককে হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এজলাসের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই বিচারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। মো. নাসিম নামে একজন লিখেছেন, আওমীলীগ সরকার এই দেশে থেকে না গেলে কি আর আমরা এই সব নাটক দেখতে পারতাম বলেন!!!
আবু তাহের লিখেছেন, চোর চুরি করেছে সমস্যা নাই ধরা পড়ে গেছে এটা সমস্যা। ধন্যবাদ ওই বিচারককে যে আপনাদের চরিত্র জাতির সামনে প্রকাশ করেছে।
আলম বাদশা লিখেছেন, ওনার মতো বিচারক প্রতিটা আদালতেই দরকার। বিচার বিভাগের ওপর যদি এইভাবে অত্যাচার হামলা করা হয়, চাপ সৃষ্টি করা হয় দেশ অচল হয়ে যাবে। একজন বিচারকের স্বাধীনতা দিতে হবে।
বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে হোসেন বেলাল নামে একজন লিখেছেন, আপনারা এই সরকারকে অস্থিতিশীল করতেছেন, আপনাদের জন্য দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, নিজের পেটের কথা চিন্তা না করে এবার দেশের কথা একটু চিন্তা করুন।
সুমন লিখেছেন, উকিল সাহেব আপনি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে যাই বোঝানোর চেষ্টা করুন, এজলাসে অবস্থানরত একজন বিচারকের সাথে উকিল সাহেবেরা চরম অপেশাদার আচরণ করেছে। ভিডিওটি যারা দেখেছে তারা কেউ অবুঝ নয়। বাটপারি বিবৃতি বন্ধ করেন।