চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের ৫৪ তম ব্যাচের স্নাতকোত্তরের ফলাফলে ভরাডুবির ঘটনায় ফলাফল বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন এই দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
চবি বাংলা বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ৫৪ তম ব্যাচের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফলাফলে রয়েছে আকাশ জমিন পার্থক্য। যেখানে স্বাভাবিকভাবে স্নাতকোত্তরের ফলাফল তুলনামূলকভাবে ভালো হয় সেখানে ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনা প্রতিহিংসামূলক ও ছাত্রদের সাথে প্রহসন, দাবি ভুক্তভোগীদের।
তথ্যমতে, এবার স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ এর ওপরে আছেন মাত্র একজন, ৩ দশমিক ২৫ এর ওপরে ৪ জন, ৩ দশমিক ০০ এর ওপরে ৩৫ জন, আর ৩ দশমিক ০০ এর নিচে রয়েছে ৬৩ জন। যেটা স্নাতকে ছিলো যথাক্রমে ৫ জন, ৫০ জন ৫২ জন ও ৯ জন।
ভুক্তভোগী ৫৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন, পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টি একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার হিসেবে থাকার কথা ছিলো কিন্তু এমন নিয়ম করা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেলেও তারা পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ পাবে না।
এটা প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সব ভুলের উর্ধ্বে অথচ আমাদের কাছে আমাদের সম্মানিত শিক্ষকদের ভুলের দৃষ্টান্ত নিতান্ত কম নয়। যে সব শিক্ষার্থীরা বাবার পরিশ্রমের টাকা খরচ করে কিংবা শহরে গিয়ে টিউশনের টাকা দিয়ে লেখাপড়া করেছে তাদের শিক্ষকদের ভুলের কারণে হয়রানির শিকার হওয়ার কোন মানেই হয় না।আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আফসানা মিমি বলেন, আমাদের যে রেজাল্ট দেয়া হয়েছে সেটা নিয়ে যখন কোন জবের জন্য যাবো আগেই আমাদের শর্ট লিস্ট থেকে মাইনাস করা হবে। আমাদের অনেকের মধ্যে স্বপ্ন ছিলো ভালো কিছু করার কিন্তু রেজাল্টের এত ধ্বস নামানো হয়েছে যে আমাদের আর আবেদনের কোন যোগ্যতায় রাখা হয়নি। আমাদের এক দুইজনের খারাপ রেজাল্ট হতে পারে কিন্তু পুরো ব্যাচের রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কোন মানেই হয় না। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব অতিসত্বর যাতে আমাদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় এবং আমাদের ন্যায্য নাম্বার আমাদের দেয়া হয়।
চবি পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, তারা আমাদের কাছে তাদের সাথে যাওয়া অসংগতির কথা বলেছেন। আমরা প্রোভিসি একাডেমিকের সাথে এটা নিয়ে কথা বলেছি। তাদের বিষয়ে খুব দ্রুত আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হব।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।