ছাত্র আন্দোলনে হত্যার বিচার করতে অতিদ্রুত একটা গণতদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, এখানে জুলাই হত্যার শিকার পরিবারের সদস্যরা গণতদন্ত কমিশনে ঘটনার বর্ণনা দেবে।
সেটা ডকুমেন্টশন করবে। জুলাই আন্দোলন ক্রেডিট একক কোনো দলের নেয়া চলবে না। ৩৬ জুলাই আমরা হাজারো পরিবার সচিবালয় ঘেরাও করবো। জুলাই ঘোষণাপত্র করার জন্য এনসিপিকে দায়িত্ব দিলে হবে না। সব দলকে বসতে হবে।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান খালিদ।
তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করলে বিচার বিভাগ সেটার বিচার করবে। আদালতের কাজ আদালত করবো আর নির্বাহী বিভাগের কাজ নির্বাহী বিভাগ করবে। নির্বাচিত সরকার আসার আগে পুলিশ নিয়োগ ঘুষ ছাড়া হবে- এটাই আমাদের আশা। আপনারা ক্ষমতায় থাকতে থাকতে পুলিশ নিয়োগ দিয়ে যান। এক সপ্তাহের মধ্যে ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দিয়ে যান।
বিএনপিরও সিনিয়রদের পিছনে গিয়ে তরুণদের সামনে আনা উচিত। গয়েশ্বর বাবু বলেছেন, আজ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে, কাল বিএনপি নিষিদ্ধের দাবি করবে না তার গ্যারান্টি কী? ওসমান খালিদ বলেন, গয়েশ্বর বাবু, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা করা ঠিক না।
এই প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগের কথা বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টি নেই কেনো? তারা দুধে ধোয়া দল। তারা তো এই সরকারকে সমর্থন করে না। আমাদের সমস্যা বামপন্থি না, সমস্যা হলো ভারতপন্থি। আওয়ামী লীগ শুধু নয়, ১৪ দলের বিচার করতে হবে। কারণে তারাও এই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো। শেখ হাসিনা শেষ যে সভা করেছে তা ছিলো ১৪ দলের।
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল দলের বিচার করবে। প্রথম ট্রাইব্যুনাল ব্যক্তির বিচার করবে। আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেকে আছে গণহত্যায় জড়িত না। তাদেরকে একটা স্পেস তৈরি করতে হবে। এদের নিয়ে একটা মামলা বাণিজ্য চলছে। এদের ইনসাফ তৈরি করতে হবে। তওবা কমিশন গঠন করে তাদের দায়মুক্ত করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, বিএনপি কি আওয়ামী লীগের মতো হতে চায়। বা বিএনপি কি আওয়ামী লীগের মতো আরেকটি গণহত্যা চালাতে পারবে?