৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি | স্কুল নিউজ

৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকার দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় সে সময় অনেক বিদ্যালয় তালিকা থেকে বাদ পড়ে। এরপর নানা আন্দোলন, অনশন ও আশ্বাস সত্ত্বেও এসব বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ আলোর মুখ দেখেনি।

#জাতীয়করণ #প্রাথমিক বিদ্যালয় #শিক্ষক

কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে ৫ হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্রুত জাতীয়করণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার (৩০ জুন) নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

তাদের দাবি, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকার দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় সে সময় অনেক বিদ্যালয় তালিকা থেকে বাদ পড়ে। এরপর নানা আন্দোলন, অনশন ও আশ্বাস সত্ত্বেও এসব বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ আলোর মুখ দেখেনি।

সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, আমরা শুধু ন্যায্য অধিকার চাই। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ঘোষণায় বাদ পড়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের সব শর্ত পূরণ করেও বঞ্চিত। এসব বিদ্যালয়কে দ্রুত জাতীয়করণ করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন সচিব ও মহাপরিচালক আমাদের আন্দোলনে এসে দুই মাসের মধ্যে জাতীয়করণ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ৫৬ দিন অনশন কর্মসূচি পালন করি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও প্রয়োজনীয় চিঠি ইস্যু হয়। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।

সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটি অধ্যায় ৪ এর ৪ দশমিক ৩ এবং পৃষ্ঠা ৩৫ অনুযায়ী ৫ হাজার বিদ্যালয় দ্রুত জাতীয়করণের সুপারিশ করেছে। তারপরও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আবারও রাস্তায়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘চাকরি আছে, বেতন নেই’—এমন বাস্তবতায় বছরের পর বছর মানবেতর জীবন কাটছে অনেক শিক্ষকের। জাতীয়করণ ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই।

প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া শিক্ষকদের হাতে দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার, যেখানে লেখা— ‘এভাবে আর কত দিন?’, ‘জাতীয়করণই বাঁচার উপায়’, ‘শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি চাই, অবিলম্বে জাতীয়করণ চাই’।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যতদিন না দাবি পূরণ হবে, ততদিন অবস্থান কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে আন্দোলন আরও বিস্তৃত করা হবে।

আন্দোলনকারীরা অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#জাতীয়করণ #প্রাথমিক বিদ্যালয় #শিক্ষক