প্রতিবছর ১৯ জানুয়ারি ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে সরকারিভাবে পালনের জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ।
রাজধানীর মিরপুরে সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইসহাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন প্রফেসর মো. মাজহারুল হান্নান।
সভায় আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক মো. শহিদুল্লাহ, অধ্যাপক দীপক কুমার রায়, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজাদুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক আল মামুন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান খান ও অধ্যাপিকা ইসফাত আজমি।
আলোচকরা জাতীয় শিক্ষক দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে সরকারিভাবে পালনের জোর দাবি জানান। এজন্য ১৯ জানুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের জন্য সরকারি গেজেট প্রকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচকরা বলেন, আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যে বৈষম্য রয়েছে তা দূর করে অবিলম্বে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে।
প্রবীন শিক্ষক নেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় কোষাগার থেকে বেতনের ৫০ শতাংশ প্রদান এবং চাকরিবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষকদের কল্যাণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অনন্য অবদানের জন্য তিনি এদেশের শিক্ষক সমাজের মধ্যমণি হয়ে রয়েছেন।
তিনি বলেন, জিয়ার স্মৃতিকে অম্লান রাখতে, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি বিয়াম মিলনায়তনে শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর সুবিধার প্রথম চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শহীদ জিয়ার জন্ম দিবস ১৯ জানুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।