ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ঈদের ছুটির আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এমন সময়ে, যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন, তখন গোপনে ই-মেইলের মাধ্যমে বহিষ্কারের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ মনে করে, এটি শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সাংবিধানিক অধিকারহরণ এবং প্রশাসনের পরিকল্পিত দমননীতি বাস্তবায়নের অংশ।

#শিক্ষার্থী #গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ #বিশ্ববিদ্যালয় #ইউআইইউ

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার এবং কর্তৃপক্ষের স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ তাদের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজে এ বিষয় নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ঈদের ছুটির আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এমন সময়ে, যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন, তখন গোপনে ই-মেইলের মাধ্যমে বহিষ্কারের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ মনে করে, এটি শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সাংবিধানিক অধিকারহরণ এবং প্রশাসনের পরিকল্পিত দমননীতি বাস্তবায়নের অংশ।

চলমান আন্দোলনের অন্যতম সংগঠকের উপর ঘটে যাওয়া নির্মম হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এখনও হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলন দমনকে প্রাধান্য দিয়ে, একটি প্রশ্নবিদ্ধ তদন্ত কমিটি গঠন করে, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ও প্রমাণ উপস্থাপন না করেই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না থাকা এবং অভিযুক্তদের বক্তব্য উপেক্ষা করা প্রমাণ করে যে, পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিপরীতমুখী।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ মনে করে, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অংশগ্রহণের অধিকার এবং ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দেওয়া কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদমূলক কার্যক্রম কোনো অবস্থাতেই প্রশাসনিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া উচিত নয়। এই ধরনের স্বেচ্ছাচারী ও রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত পদক্ষেপ শিক্ষাঙ্গনে ভয় ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করে, যা শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ও চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

তারা জোরালোভাবে দাবি জানান, বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষাঙ্গনকে গণতান্ত্রিক, নিরাপদ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

#শিক্ষার্থী #গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ #বিশ্ববিদ্যালয় #ইউআইইউ