এআই জেনারেটেড প্রতীকী ছবি
শর্তসাপেক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্সের নিয়মিত ও কর্মরত শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ওএমপিও নীতিমালা-২০২১ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় আলোচনা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার প্রধান অতিথি ছিলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সন্ধ্যায় দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, বেসরকারি কলেজের অনার্স কোর্সের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে বৈঠকে পজেটিভ আলোচনা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তাবের বিষয়ে অনেকেই পজেটিভ ছিলেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া যাবে বলে মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে কিছু শর্ত রয়েছে। এমপিওভুক্তি ছাড়া কি কি সুবিধা পাবে কি পাবে না সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষকরা জানান, কাগজে-কলমে সারাদেশে মোট ৪৯৫টি কলেজে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক কর্মরত। তবে, এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত হলে এই সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বৈত শাসনের কবলে পড়ে একই কলেজে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস কোর্সের শিক্ষকগণ এমপিওভুক্ত হলেও স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্সের শিক্ষকরা এমপিও পান না।
একাধিক গ্রুপ ও দলে বিভক্ত হয়ে তারা এমপিওভুক্তির জন্য মানবন্ধন, গোলটেবিল, অনশণসহ অনেক কিছুই করেছেন। বিগত ১৫ বছরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ উপাচার্যই অনার্স শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব তাজকির উজ জামান বলেন, বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের এমপিওর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ১১২ কোটি টাকা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হবে।
অর্থের প্রক্কলন পাওয়া গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে।