গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
সোমরাব (১৯ এপ্রিল) সকালে বাসে করে গাজীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে ইউজিসিতে এসে পৌঁছান তারা। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ মে) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ফখরুল হাসান ফয়সাল বলেন, তারা গত রাতেও ইউজিসির সামনেই অবস্থান করেছিলেন। নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আগামী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব উঠবে—শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন নিশ্চয়তা পেলেই কেবল তারা আন্দোলন স্থগিত করবেন। তার আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের জন্য চারটি নাম প্রস্তাব করেছেন। এগুলো হলো বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নাম নির্ধারণ করার দাবি তাঁদের।
ইউজিসির ভাষ্য, নাম পরিবর্তনের এখতিয়ার ইউজিসির হাতে নেই। কারণ, নাম পরিবর্তনের জন্য আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন, যা সরকার করতে পারে। এ জন্য তারা কেবল সুপারিশ করতে পারে। যা তারা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আন্দোলন করছেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করেছে। যদিও প্রথমে নতুন নাম বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের পর থেকেই ক্ষুব্ধ হন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা প্রথমে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। দাবি আদায়ে স্মারকলিপি, মানববন্ধন, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা, ‘রেল ব্লকেড’ ‘শাটডাউন’সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এর মধ্যে আশ্বাসের ভিত্তিতে কখনো কখনো কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও এখনো দাবি পূরণ হয়নি।
তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য চারটি নাম প্রস্তাব করে যেকোনো একটি চূড়ান্ত করার দাবি করছেন।